১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:২০, ১ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১৬:০৬, ২ অক্টোবর ২০২২

সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে নেতাদের উপর ক্ষেপলেন মির্জা আজম

সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে নেতাদের উপর ক্ষেপলেন মির্জা আজম

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: দলের মধ্যে বিভক্তি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি নেতাদের উপর ক্ষোভ ঝেরে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘দলীয় নির্দেশনার কিছুই আপনারা মানেন নাই। আপনাদের ব্যর্থতার জন্য আপনাদের পুরস্কৃত করা হবে। সেটার জন্য থাইকেন।’

শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের আগামী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ডাকা এই বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আজমও। সভার আলোচনায় উঠে আসে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমের নানা দিক। এই সময়ে দলের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টিও সামনে আসে।

আগামী সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ নিয়ে শুরুতে ভিন্নমত তৈরি হয়। নেতা-কর্মীরা দুইপক্ষে বিভক্ত হয়ে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও শেখ রাসেল পার্ক সম্মেলনের স্থান হিসেবে প্রস্তাব করেন। যদিও একজন নেতা সম্মেলন রূপগঞ্জে আয়োজনের প্রস্তাব দেন। এই বিতর্কের মধ্যে কিছুটা নাখোশ হন মির্জা আজম। পরে তিনি জেলা ও মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সম্মেলনের স্থান নির্ধারণের দায়িত্ব দেন।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন মির্জা আজম। তিনি কমিটির বর্ধিত সভা ও নিয়মিত সভা ঠিকভাবে হয়নি কেন তা জানতে চান। এ নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেন।

মির্জা আজম বলেন, ‘প্রতিমাসে একটি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হওয়ার কথা। অথচ গত ৫ বছরে সভা হয়েছে ামত্র ১২টা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিমাসে অন্তত একটি করে সভা হলেও কমপক্ষে ৬০টি সভা হওয়ার কথা ছিল। আপনারা সভা করেন না। প্রতি চারমাসে একটি বর্ধিত সভা হওয়ার কথা ছিল, আমি দেখলাম ৫ বছর পর আজ বর্ধিত সভা হচ্ছে। প্রতি ৬ মাস পর পর একটি কর্মী সভা করার কথা ছিল। জীবনে একটাও কর্মীসভা করেন নাই। নির্দেশনা আছে কিন্তু আপনারা কিছুই মানেন নাই। আপনাদের ব্যর্থতার জন্য আপনাদের পুরষ্কৃত করা হবে। এটার জন্য প্রস্তুত থাইকেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের দীর্ঘদিনের যে রাজনীতি, দ্বিধা-বিভক্তির রাজনীতি, রক্তাক্তের রাজনীতি। যেটা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। এটা যদি আমরা করতে পারতাম, তাহলে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসন আওয়ামী লীগের হবে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, আরজু রহমান ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত প্রমুখ।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়