২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:২১, ১৮ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ২১:২২, ১৮ অক্টোবর ২০২১

সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগ না করা ব্যক্তিদের নৌকা দিচ্ছে: আনোয়ার

সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগ না করা ব্যক্তিদের নৌকা দিচ্ছে: আনোয়ার

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগ না করা ব্যক্তিদের নৌকা প্রতীকে ইউপি নির্বাচন করার সুযোগ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। সোমবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। নগরীর দুই নম্বর গেইটে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জন্যে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। আমরা সবাই চেষ্টা করি এ দলটাকে জঞ্জালমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত একটি সুন্দর সংগঠন হিসেবে দাঁড় করাতে। আজকে দলের ভেতর নানা ষড়যন্ত্র চলছে। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যে নানা ধরনের কাজ চলছে। আমরা আজকে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখছি যারা কোনোদিন আওয়ামী লীগ করে নাই, তাদের নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। তারা আজকে দলের ভেতর ঢুকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমরা যারা আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মী তাদের প্রতি আমার একটাই কথা, আমাদেরকেই দলের হাল ধরতে হবে। এসব সুবিধাবাদী লোকেরা কিন্তু থাকবে না যার কারণে আমাদেরকেই শক্ত হাতে দলের হাল ধরতে হবে। ভোগের রাজনীতি পরিহার করে ত্যাগের রাজনীতি ধরে রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৫ আগষ্ট রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর হায়েনার দল নির্মমভাবে ছোট্ট রাসেলকে হত্যা করে। মৃত্যুর আগে ছোট্ট রাসেল তার মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। সে আকুতি হায়েনার দলের কাছে পৌছায়নি। জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পরও ক্ষান্ত হয়নি জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা। তারা তখন আইন পাশ করলো যে, জাতির জনকের হত্যার বিচার করা যাবে না। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর ক্ষমতায় আসার পর সেই আইন বাতিল করে জাতির জনকের হত্যার বিচারের কার্যক্রম শুরু করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যার ফলশ্রুতিতে জাতির জনককে হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছিল। সেই ঘাতক দলের ২-৩ জন ছাড়া সবাই ফাসির কাষ্ঠে ঝুলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলো বলেই এই হত্যাকান্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে।’

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজকে শুধু জাতির জনকের হত্যাকান্ড বিচার করেননি, তিনি আজকে জাতির জনকে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আজকে তারই নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সব আর্ন্তজাতিক চক্রান্ত নসাৎ করে জননেত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন পদ্মা সেতু নির্মাণ করে। আজকে শেখ রাসেল আমাদের মধ্যে নেই। শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকতো তাহলে সে আমাদের সাথে রাজনীতি করতো এবং অনেক বড় নেতা হতে পারতো। জাতির জনক ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগষ্ট যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন ছানু, যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, কোষাধ্যক্ষ কামাল দেওয়ান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সাবেক ছাত্র নেতা আলী হাসান সজীব, মোশাররফ হোসেন জনি প্রমুখ।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়