২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ২২ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ২১:২৬, ২২ এপ্রিল ২০২১

সুযোগ সন্ধানীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে: সেলিম ওসমান

সুযোগ সন্ধানীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে: সেলিম ওসমান

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘কারফিউ বা লকডাউন দিয়ে করোনা সংক্রমণ রোধ করা যাবে না। প্রতিটি মানুষ যদি সচেতন হয় তাহলে এই রোগটি কমতে বাধ্য। এটার জন্যে আমাদের হাত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং সারাক্ষণ মাস্ক পরতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন এ সচেতনতা মেনে চলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, যদি কঠোর হতে হয় আপনারা কঠোর হন এবং জরিমানা করেন।’

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল ) দুপুরে খানপুরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই হাসপাতালের বিষয়ে বিভিন্ন লোকের অভিযোগ শুনে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে যা দেখলাম, হাসপাতালকে দোষারোপ করার কোনো কারণ নেই। এখানে অসন্তোষজনক কিছু দেখি নাই। নার্স, স্টাফরা জান-প্রাণ দিয়ে কাজ করছেন। করোনার প্রথম ঢেউয়ে ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ডাক্তার-নার্সদের বার একাডেমী স্কুল ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে থাকা ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু বর্তমান ব্যবসায়ীরাই অসুবিধায় পড়ে গেছে। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও এই পরিস্থিতিতে পড়েছি। এটা শুধু নারায়ণগঞ্জের সমস্যা না, এটা সারাবিশ্বের সমস্যা।

তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে ক্ষোভ থাকবেই কারণ নারায়ণগঞ্জে সে পরিমাণ হাসপাতাল নাই। আজকে অনেকে আসতে পারছেন না, অনেকে আবার মনে করছেন হাসপাতলে অনেক ভিড়। পিসিআর টেস্ট না করিয়ে অনেকে নিজেকে নিজেই ধোকা দিচ্ছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। যা বাড়ার কোনো কারণ ছিল না। কারণ বাইরের জেলাগুলো থেকে সবরকমের পণ্য আসতে পারে। পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানগুলো চলাচলের জন্য কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সাংসদ বলেন, গতবারের মত চাল-ডাল বিতরণ এবং কোনো আর্থিক সহায়তা দেয়া যাবে না। ইতিমধ্যে সরকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় চাল-ডাল বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। আমাদের থেকে গতবারের মত সহযোগিতার আশা যাতে কেউ না করে। মানুষের কাজ চালানোর জন্যে সব ধরনের ব্যবসা চলছে। আগে একজন রিকশাওয়ালা রিকশা চালাতে পারতো না। এখন ঠিকভাবেই চালাতে পারছে। শুধুমাত্র আমাদের লোকাল বাসগুলো বন্ধ রয়েছে। কয়েকদিন পরে সেগুলোও অর্ধেক চালানো হবে। আইন আরও কঠোর হবে এবং ধীরে ধীরে লকডাউন উঠে যাবে। সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাসার, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু প্রমুখ।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়