স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা র্শীষক আলোচনা সভা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: জেলা ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা’ র্শীষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর ২নং রেল গেইট বাসদ কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুন্নি সরদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নিখিল দাস, ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শোভন রহমান, কেন্দ্রীয় স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আক্তার, ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহসভাপতি রিনা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রাতুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক নাছিমা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক শিহাব মৃধা প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা পার করছি। শাসক শ্রেণি মহা সমারোহে উন্নয়নের গালভরা গল্প শুনিয়ে সুর্বন জয়ন্তী উদযাপন করেছে। কিন্তু ৫০ বছর আগে যে সমাজের স্বপ্নে এদেশের ত্রিশ লক্ষ্য মানুষ আতেœাউৎর্সগ করেছিলো সে স্বপ্ন কতটুকু পূরণ হয়েছে? পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসন-শোষনের পরিবর্তে এদেশের মানুষ চেয়েছিল একটা শোষন মুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ। কিন্তু সে আকাক্ষা আজও অপূরনীয়। পাকিস্তান আমলে ১৯৬২ সালে এদেশে শিক্ষার্থীরা সামরিক স্বৈরশাষক আইয়ুব খান গঠিত শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে বুকের রক্ত ঝড়িয়েছিলো। সর্বজনীন- বিজ্ঞানভিত্তিক-অসাম্প্রদায়িক শিক্ষার দাবিতে ছাত্ররা উচ্চারন করেছে বারবার। কিন্তু স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরের আমরা দেখি শিক্ষা ব্যাবস্থার বিবর্ণ দশা। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার প্রতিটি স্ত্যরেই বেসরকারি ধারাই প্রধান। গোটা শিক্ষা ব্যাবস্থার ৯৫ ভাগই বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। জাতীয় বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বনিম্ন, জিডিপির মাত্র ২.২ ভাগ। কিন্তু ১৯৭২ সালে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিলো মোট বাজেটের ২২ শতাংশ, আর বর্তমানে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ১১.৯২ শতাংশ। বাণিজ্যিক থাবায় দেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষত বিক্ষত। অন্যদিকে সংবিধানে এক ধারার শিক্ষার কথাা বলা থাকলেও বহু ধারার শিক্ষাব্যবস্থা দেশে বহাল আছে।

ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে শিক্ষার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমাজ পরিবর্তনের পরিপূরক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ছাত্র যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।