২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ২০ এপ্রিল ২০২৩

আপডেট: ২৩:৪৮, ২০ এপ্রিল ২০২৩

স্বামীর সাথে কেনাকাটা করতে বেরিয়ে খুন স্ত্রী

স্বামীর সাথে কেনাকাটা করতে বেরিয়ে খুন স্ত্রী

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে মৌসুমি আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত এগারোটার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের শিংলাব এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন নিহতের স্বজনরা।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মৌসুমি তার স্বামী রাসেল মিয়ার সাথে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য বেরিয়েছিলেন। স্বামীর দাবি, পথে তারা ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন।

তবে পুলিশ বলছে, নিহতের গলায় ফাঁস লাগানোর মতো চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া শরীরে আর কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আর তার স্বামীর পিঠে সামান্য আঁচড় ছাড়া অন্য কোন ক্ষত নেই। গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

নিহত মৌসুমি আক্তার রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়া এলাকার করিম হায়দারের মেয়ে। তার স্বামী রাসেল মিয়া একই এলাকার চাল ব্যবসায়ী। তাদের মো. নাঈম নামে ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে বলে জানান স্বজনরা।

স্বজনরা জানান, ভালোবেসে রাসেল মিয়াকে বিয়ে করেন মৌসুমি। বিয়ের পরের কয়েক বছর ভালোই সংসার চলছিল। সম্প্রতি টাকার জন্য মৌসুমিকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো রাসেল। কিছুদিন আগে স্বামী রাসেল তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কয়েকদিন আগে রাসেলের পরিবারের লোকজন এসে পুত্রবধূকে বাড়ি নিয়ে যায়।

নিহতের ভাই সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “গত বুধবার রাতে ঈদের কেনাকাটা করার কথা বলে গাউসিয়া মার্কেটে নিয়ে যায় আমার বোনকে। পরে ভাগিনাকে দিয়ে বাড়িতে খবর পাঠায় ডাকাতরা রাস্তায় আমার বোনকে কুপিয়ে খুন করেছে। খবর পেয়ে সোনারগাঁয়ের শিংলাব এলাকার নির্জন একটি স্থান থেকে আমার বোনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে আমার বোনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আমার বোনের গলায় ফাঁস লাগানোর মতো চিহ্ন ছাড়া আর কোন আঘাত নেই। আমরা ধারণা করছি, বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্য করেছে তার স্বামী।”

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন, ‘রাত এগারোটার দিকে পুলিশ নিহতের মৃত্যুর খবর পায়। নিহতের স্বামীর দাবি, তারা ডাকাত বা ছিনতাইকারীর দলের কবলে পড়েছিলেন। কিন্তু নিহতের গলায় ফাঁস লাগানোর মতো চিহ্ন ছাড়া আর কোন আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তার স্বামীর পিঠেও সামান আঁচড় ছাড়া আর কোন ক্ষত নেই।’

‘ঘটনার পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে পুরো ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। এতে সন্দেহ স্বামীর দিকে যাচ্ছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদেরও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। পুলিশ নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।’

নিহতের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়