২৮ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ১২:২২, ২৬ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১২:২৩, ২৬ মার্চ ২০২৩

হামলায় গুলিবিদ্ধ সেই পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ

হামলায় গুলিবিদ্ধ সেই পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জমি দখলে বাধা দেওয়ায় `হোন্ডা বাহিনী`র হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত প্রয়াত চেয়ারম্যান রাইসুল হকের পরিবারের সদস্যদের দেখতে গেছেন পারভীন ওসমান ও তার ছেলে আজমেরী ওসমান। শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ফরাজিকান্দা এলাকায় রাইসুল হক চেয়ারম্যানের বাড়িতে আসেন তারা। এ সময় আহতদের খোঁজখবর নেয়া সহ সেদিনের ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে রাইসুল হক চেয়ারম্যানের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন পারভীন ওসমান ও আজমেরী ওসমান।

এ সময় আজমেরী ওসমান আহত পারভেজ ও তার স্ত্রীকে শান্তনা দিয়ে বলেন, ভুল বুঝাবুঝির কারনেই এমন ঘটনাটি ঘটেছে। এজন্য আমি ও আমার পরিবার দু:খ প্রকাশ করছি। জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও প্রয়াত কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাইসুল হক চাচা ছিলেন আমার পিতা প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের ঘনিষ্ট বন্ধু। রাইসুল হক চাচার বাড়ি ছিল আমার পিতার সেকেন্ড হোম। তিনি ছিলেন ওসমান পরিবারের খুবই কাছের মানুষ। আলী হায়দার শামীম চাচাকে বন্দরের কিছু লোক ভুল বুঝিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এজন্য আমি ও আমার পরিবার দুঃখ প্রকাশ করছি। এবং সব সময় রাইসুল হক চাচার পরিবারের পাশে থাকব।

পারভেজের স্ত্রী আহত আবিদা সুলতানা সুমা বলেন, তারা নিজ ইচ্ছায় আমাদের বাড়িতে এসে খোঁজখবর নিয়েছে এবং উক্ত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য গত ১৬ মার্চ দুপুরে আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ আলী হায়দার শামীমের নেতৃত্বে হোন্ডাবাহিনী রাইসুল হক চেয়ারম্যানের পরিবারের ভোগ দখলে থাকা একটি জমি দখল করতে আসে। পরে ওই জমির চারপাশে প্রাচীর দিয়ে দখল করার সময় রাইসুল হক চেয়ারম্যানের ছেলে মঈনুল হক পারভেজের স্ত্রী আবিদা সুলতানা সুমা গিয়ে বাধা দেয়। এরপরই সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় হোন্ডা বাহিনীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন ফরাজিকান্দা এলাকার প্রয়াত চেয়ারম্যান রাইসুল হকের ছেলে মঈনুল হক পারভেজ (৪২)। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী সোমা আক্তার (৩২), মা মাহফুজা হক (৬৫) এবং বিল্লাল হোসেন (৪৫) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। পরে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে হোন্ডাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দেয়। এ সময় এলাকাবাসী ২টি হোন্ডার আগুন ধরিয়ে দেয় ও ২টি ব্যাপক ভাঙ্গচুর চালায়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীমের নেতৃত্বে কাজী আমির, মুকিত, ডালিম, সিজারসহ ৪০-৫০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী এ হামলায় অংশ নেয়। তারা অন্তত ১৫-২০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

পরে গুলিবিদ্ধ মঈনুল হক পারভেজের ছোটভাই তানভীর আহমেদ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন৷ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহযোগী আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীমকে (৬০)৷ এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকার আদাবরের নবীনগর হাউজিং সোসাইটির সেকান্দার মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ (৫৫), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের শাহ্জাদার ছেলে রায়হান জাদা রবি (৪৫), রূপগঞ্জের ভুলতার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মামুন (৪৮), বন্দরের চুনাভূরার হাবিবের ছেলে মনির হোসেন মনা (৫২), খানবাড়ি এলাকার মৃত জুলমত আলীর ছেলে কবির (৫৫), সদর উপজেলার আমির হোসেন (৩৮), উৎসব (৪০), মুকিত (৪৫), মুহিদ (৪০), পাঠান রনি (৪২)৷

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়