৩শ’ শয্যা হাসপাতালে সেলিম ওসমানকেই সভাপতি চান ডা. সঞ্চয়
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান। করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসক-নার্সদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ স্থাপন, কোভিড টেস্টসহ হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও ব্যবস্থাপনা তদারকি করেছেন তিনি। তবে সম্প্রতি সভাপতি পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান। এদিকে সভাপতি পদে সেলিম ওসমানকেই চাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্চয়। ডা. সঞ্চয় বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক এবং স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতা।
ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্চয় বলেন, ‘এমপি সেলিম ওসমান এই হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করেছেন। সবধরনের সহযোগিতা এই হাসপাতাল তার কাছ থেকে পেয়েছে। করোনাকালীন সময়ে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা না করে সশরীরে হাসপাতালে এসে বিভিন্ন খোঁজখবর নিয়েছেন।’
নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক বলেন, করোনার শুরুতে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের থাকা-খাওয়ার পুরো ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সভাপতি এমপি সেলিম ওসমান। এই হাসপাতালে জেলার একমাত্র সরকারি পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনে তার অনেক অবদান রয়েছে বলেন ডা. সঞ্চয়।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা, পানির জন্য মোটর স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সরাসরি তিনি নিজে তদারকি করেছেন। সম্প্রতি তিনি হাসপাতালের সভাপতি পদ থেকে সরে দাড়ানোর জন্য একটি চিঠি আমাদের দিয়েছেন। কিন্তু আমরা চাই তিনিই সভাপতি থাকবেন। হাসপাতালের সার্বিক ও উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য তাকে আমাদের প্রয়োজন। তাকে ছাড়া অন্য কাউকে আমরা চিন্তায় রাখতে চাই না। আমাদের প্রতি তার কোনো ধরনের অভিমান কিংবা রাগ থাকলে সেসব ভুলে গিয়ে অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব যেন উনি নেন এটাই চাই।’
প্রসঙ্গত, গত রোববার ফতুল্লায় এক অনুষ্ঠানে সেলিম ওসমান জানান তিনি নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের সভাপতি পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চান জানিয়ে একটি চিঠি হাসপাতালে দিয়েছেন এই সাংসদ। তিনি বলেন, ‘খানপুরের ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের আমি সভাপতি ছিলাম। করোনার চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জের ৩শ’ শয্যা হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছিলাম। করোনা হাসপাতাল বানিয়ে এখন সাধারণ রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। একটা মানুষের মাথা ধরলে, স্ট্রোক করলে হাসপাতালে যেতে পারছেন না। শুধুমাত্র করোনা রোগীদের হাসপাতাল হয়ে গেছে। যাদের করোনা হচ্ছে তারা নিজেরাও গোপণ করছে। এসব কারণে আমি সভাপতির পদ থেকে সরে দাড়িয়েছি। এছাড়া ওখানে যেসব কীর্তিকান্ড ঘটেছে সেসব আগেও বলেছি।’
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম