২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৫ এপ্রিল ২০২০

আপডেট: ২০:১৮, ২৫ এপ্রিল ২০২০

৭শ কোটি টাকার পাট রপ্তানি অনিশ্চিত, ১০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন

৭শ কোটি টাকার পাট রপ্তানি অনিশ্চিত, ১০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে লকডাউনের কারনে পাট রপ্তানি একেবাইে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় সাত’শ কোটি টাকা মুল্যের ২০ লাখ মন কাঁচাপাট বিভিন্ন গুদামে মজুদ অবস্থায় পড়ে থাকায় রপ্তানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন পাটকল ও গুদামগুলোর সাথে জড়িত প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েন কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন, এ অবস্থা চলতে থাকেলে বিরাট হুমকির মুখে পড়বে দেশের পাটশিল্প।

এককালে দেশের পাট ব্যবসার মূল কেন্দ্রস্থল হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাচ্যের ড্যান্ডি হিসেবে সারা বিশে^ ব্যাপক সুপরিচিতি ছিল। তৎকালীন সময় এই অঞ্চলে ২০টি পাক্কা প্রেস চললেও নানা প্রতিকূলতার কারলে অধিকাংশ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাত্র ৫টি প্রিমিজে কাঁচাপাটের রপ্তানি প্রক্রিয়ার কাজ চলছে।

বিভিন্ন পাটকল ও গুদাম ঘুরে দেখা যায়, এসব প্পাক্কা প্রেসের বিভিন্ন গুদামে পাট রপ্তানি প্রক্রিয়ার কাজ ধীর গতিতে চললেও নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষনার পর থেকে প্রায় ৪ লাখ বেল অর্থাৎ ২০ লাখ মন কাঁচাপাট জেলার বিভিন্ন গুদামে মজুদ অবস্থায় পড়ে আছে। এতে করে পাটের গুণগত মান নষ্ট হওয়ারও আশংকা দেখা দিয়েছে। আগামী জুলাই মাসে নতুন পাটের মৌসুম শুরু হলেও মজুদকৃত পাট এখন রপ্তানি করা না গেলে পরের মৌসুমের পাট ক্রয় করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না বলে আশংকা করছেন পাট ব্যবসায়ীরা। এতে করে পাট রপ্তানিকারকরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দেশের পাট ব্যবসাতেও বিরাট ধস নামার আশংকায় পাট রপ্তানিকারকরা উদ্বিগ্ন।

এদিকে গত ৮ মার্চ লকডাউনের পর থেকে পাট রপ্তানি ও সকল গুদামে পাট প্রস্তুতকরণের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার। বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, অনেকটা অনাহারেই দিন কাটছে তাদের।

পাট রপ্তানিকারকদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়ির ভাইস প্রেসিডেন্ট আরজু রহমান ভূঁইয়া জানান, লকডাউনের কারণে বিদেশী ক্রেতারা পাট ক্রয় আদেশ বাতিল করায় দেশের রপ্তানিকারকরা এই বিপাকে পড়েছেন। তবে কোরিয়া এবং চীন আবার ক্রয় করা শুরু করেছে। সীমিত আকার এই দুই দেশে পাট রপ্তানি করা গেলে ভরাডুবি থেকে কিছুটা হলেও উত্তরণ করা সম্ভব হবে বলে দাবি করছেন তারা।

গত বছরের মৌসুমে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল দুই হাজার কোটি টাকার ১৪ লাখ বেল (৭০ লাখ মন) পাট। চলতি মৌসুমে রপ্তানিকারকদের একই লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৭শ’ কোটি টাকার পাট মজুদ হয়ে যাওয়ায় উল্টো লোকসানের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। পাট ব্যবসা সচল রাখতে প্রনোদনাসহ সীমিত আকারে রপ্তানির সুযোগ দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন জুট এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।

 

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়