০৪ মে ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৫২, ২১ এপ্রিল ২০২৪

বন্দর উপজেলার সব চেয়ারম্যান প্রার্থীই মামলার আসামি 

বন্দর উপজেলার সব চেয়ারম্যান প্রার্থীই মামলার আসামি 

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীদের সবার বিরুদ্ধে অতীত আর বর্তমান মিলিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে এসব মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের উপর হামলা, চাঁদাবাজি, যৌতুক, চুরি ও অগ্নিসংযোগ, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলাও রয়েছে।

প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৬ টি মামলা রয়েছে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুলের নামে। তাঁর মামলাগুলোর মধ্যে বিচারাধীন রয়েছে ৩টি, তদন্তাধীন রয়েছে ২ টি। দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে। তাঁর মামলাগুলোর বেশির ভাগই বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা৷

আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশীদের নামে মামলা আছে ১টি। চুরি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা এই মামলায় খালাস পেয়েছিলেন তিনি। তবে এবারের হলফনামায় এটি বন্দর থানায় দেখালেও ২০১৪ সালে দেয়া হলফনামায় তিনি এটি সোনারগাঁও থানার কথা উল্লেখ করেছিলেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের নামে রয়েছে ৩টি মামলা রয়েছে৷ মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে৷ সাবেক স্ত্রীর করা ২টি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতন, দেনমোহর ও খোরপোশ আদায়ের জন্য করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ধারায়ও তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন।

আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ'র বিরুদ্ধে রয়েছে ৩টি মামলা। অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা, পুলিশের উপর হামলা, চাঁদাবাজির অভিযোগে করা তিনটি মামলায় বিচারাধীন আছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা ছিল। সবগুলো মামলায় ইতোপূর্বে খালাস পেয়েছেন তিনি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, দণ্ডিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী বলা যাবে না। কিন্তু নির্বাচনে ভালো ও স্বচ্ছ ইমেজের মানুষের অংশগ্রহণ কমে গেছে এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়