১৩ মে ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বাবার জন্য ভোট চেয়ে আলোচনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলেরা 

বাবার জন্য ভোট চেয়ে আলোচনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলেরা 

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে প্রচারণার কৌশলের পাশাপাশি প্রার্থীদের মধ্যে চলছে কথার আক্রমণ। পাল্টা জবাব দিতেও ভাবছেন না প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও। তবে, নির্বাচনী প্রচারণায় নজর কেড়েছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলেরা।

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ (দোয়াত-কলম), সাবেক চেয়ারম্যান মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ), মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন (আনারস) এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ (হেলিকপ্টার)।

বন্দর উপজেলায় পরপর দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের বড় ছেলে রেজানুর রহমান রূপন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার রূপন বাবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণার দায়িত্বের পাশাপাশি মাঠেও সমান সক্রিয়। বাবার হয়ে কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। নির্বাচনী বক্তব্যে বাবার গুণগানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও বাবার নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে সকলের নজর কাড়ছেন রূপণ। আগামী দিনে রাজনীতিতে নামলে ভাল করতে পারবে বলে অভিমত বন্দরবাসীর।

অপরদিকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে থাকলেও আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ মূলত ডামি প্রার্থী। সারাদিন বাবার আনারস প্রতিকে ভোট চেয়ে বেড়ান তিনি। রাজনীতিতে আগে থেকেই সক্রিয় শুভ নানা কারণেই আলোচনায় ছিলেন। এইচএসসি পাশ শুভ মূলত ব্যবসায়ী। হলফনামা অনুযায়ী বাবার থেকেও তার সম্পদ বেশি। বাবার পাশাপাশি তার নিজেরও রয়েছে আলাদা কর্মী বাহিনী। মাকসুদ যদি জয়ী হয় সেটার পিছনে তার ছেলের বড় অবদান থাকবে বলে মত ভোটারদের।

আগামী ৭ মে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বন্দর উপজেলায়। ২৩ এপ্রিল চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। বন্দর উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ৫০০ জন; নারী ভোটার ৬৪ হাজার ৬২ জন এবং হিজড়া ভোটার ২ জন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়