মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলার নেতৃত্ব দেন মসজিদের ইমাম
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ‘রয়্যাল রিসোর্টে’ নারীসহ হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের অবরুদ্ধের খবরে রীতিমত তান্ডব চালায় হেফাজত অনুসারীরা। বিক্ষুব্ধ হেফাজত কর্মীরা রয়্যাল রিসোর্ট ছাড়াও সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতার বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর-আগুন দেয়াসহ ব্যাপক সহিংসতা চালায় তারা। এই ঘটনায় হামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে।
একটি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে খেলাফতে মজলিশের সোনারগাঁ উপজেলার সভাপতি মাওলানা মো. ইকবাল হোসেনকে। তিনি সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমামও। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের মাইকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে এই হামলার নেতৃত্ব দেন।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, রয়্যাল রিসোর্টে হামলা, ভাঙচুর ও মহাসড়কে নাশকতা মামলার প্রধান আসামী মাওলানা মো. ইকবাল হোসেনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। গত ১১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকার শ্যামপুর থানার জুরাইন রেলগেইট বাজার মসজিদের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হেফাজত নেতারা হলেন: খেলাফত মজলিশের সোনারগাঁ উপজেলা কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন (৫০), সোনারগাঁ থানা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন (৫০), সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহান ওরফে শিবলী (৪৩), সহসভাপতি মুফতি মোয়াজ্জেম হোসেন (৪৯)।
র্যাব বলছে, ঘটনার দিন সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম ও খেলাফতে মজলিশের সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো. ইকবাল হোসেন মাগরিবের নামাযের পর মসজিদের মাইকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে এবং উক্ত হামলার নেতৃত্ব দেন। এই ঘটনায় গ্রেফতার চারজনই মামুনুল কান্ডে পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি বলে জানিয়েছে র্যাব।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম