নাসিকে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেমিনার
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: শহর পর্যায়ে ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিত’ করতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৬ জুন) বেলা ১১টায় নগরীর নিতাইগঞ্জে নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) অব ইউনাইটেড ন্যাশনস এর আয়োজনে ‘ঢাকা ফুড এজেন্ডা-২০৪১’ শীর্ষক এই সেমিনারে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবুল আমিনের সভাপতিত্বে এই সময় উপস্থিত ছিলেন এএফও এর অফিসার ইনচার্জ পেড্রো এ গার্জন, ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন, সিটি কো-অর্ডিনেটর আনোয়ারুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাসিক কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ বিভা হাসান, অসিত বরণ বিশ্বাস, সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন। বিশুদ্ধ বাজার, খাদ্যের মান, ভেজাল প্রতিরোধ, দ্রব্যমূল্য, খাদ্য পরিবেশনে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাসহ নানা মতামত তুরে ধরেন তারা।
সভাপতির বক্তব্যে আবুল আমিন বলেন, ‘ফুড সিস্টেমের প্রকল্প সম্প্রসারিত করতে গেলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও) অব ইউনাইটেড ন্যাশনস এর বেশ কিছু ম্যান্ডেট রয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ সকলকে নিয়ে ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে সুদূরপ্রসারী ফলাফল পাওয়া যাবে। ঢাকায় এটি সফলতা পেলে সারা বাংলাদেশেই এটি বাস্তবায়ন করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরের বড় একটি অংশ স্ট্রিটফুড কিনে খায়। বাইরের দেশগুলোতে স্ট্রিটফুড খুব জনপ্রিয়। তবে বাইরের দেশগুলোর তুলনায় আমাদের স্ট্রিটফুডের পরিবেশ ততটা ভালো নয়। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখেই খাদ্য পরিবেশন ও গ্রহণ। খোলাবস্থায় খাবার বিক্রি না করে ন্যূনতম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। এইসব আইন প্রয়োগ করে করাটা খুবই কঠিন কাজ। নিজের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। তাহলে বিক্রিও বাড়বে, মানুষের স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে।’
নাসিকের সিইও বলেন, ‘খাদ্যই কিন্তু সবকিছু। খাদ্য থেকে যেমন শক্তি পাই তেমনি খাদ্য থেকেই কিন্তু রোগ-ব্যাধি হয়। তেল ছাড়া খাদ্য রান্না করে খেলে ভালো থাকতে পারবেন। প্রয়োজনে খাঁটি সরিষার তেল কিনে অল্প করে ব্যবহার করে যেতে পারে। এইটা চিকিৎসকদেরই পরামর্শ। যা কিছুই খান বিশুদ্ধটা খান এবং অল্প খান। অল্প খাবো এবং ভালোটা খাবো, এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।’
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম