জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের
জাতীয় ন্যুনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। বুধবার (১ মে) বিকাল ৪ টায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক শ্রমিক সমাবেশে এই দাবি করেন তারা।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আ. হাই শরীফের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তপন কুমার রায়, জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য এম. এ. শাহীন, মো. শাহজাহান মিয়া, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার, জেলা কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম, আ. সোবাহান, আ. ছালাম, সফিউল্লাহ সহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে শতভাগ। শ্রমজীবী মানুষ চরম দিশাহারা। তাঁরা অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে। সকল সেক্টরে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার ও মালিক গোষ্ঠীর তালবাহানা চলছে। শ্রমিক স্বার্থবিরোধী নতুন নতুন কালো আইন তৈরি করে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। মে দিবসের ১৩৮ বছর পার হয়েছে, অথচ আজও আমাদের দেশের শ্রমিকদের জীবনে তার সুফল আসেনি। আজও দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ, ন্যায্য মজুরি ও অন্যান্য ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত। আজও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নেই। কর্মস্থলে পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। এমনকি বকেয়া মজুরি চাইতে গিয়ে জীবন দিতে হচ্ছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনের সময় ৪ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তারা বলেন, এই মে দিবসের সমাবেশ থেকে আমরা দাবি করছি, দেশের সকল শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ন্যুনতম মজুরি ঘোষণা করা হোক। আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ মোতাবেক অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা হোক। আইএলও কনভেনশন অনুসারে শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা সংশোধন করা হোক। গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করা হোক। শ্রমিকদের জন্য বাসস্থান ও রেশনিং এর ব্যবস্থা করা হোক।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল লাল পতাকা মিছিল নারায়ণগঞ্জ শহর প্রদক্ষিণ করে। সন্ধ্যায় এই মঞ্চে নারায়ণগঞ্জ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।
