০৪ মে ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জের ইউনাইটেড নীটওয়্যারের শ্রমিকদের মানববন্ধন

সিদ্ধিরগঞ্জের ইউনাইটেড নীটওয়্যারের শ্রমিকদের মানববন্ধন

শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন, গ্রেফতার হয়রানি বন্ধ ও 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরী বাড়ি এলাকার ইউনাইটেড নীটওয়্যারের শ্রমিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মুখ চাষাড়া মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড নীটওয়্যারের শ্রমিক মো. আরিফ, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র'র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আ. হাই শরীফ, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সদ্য কারামুক্ত ইউনাইটেড নীটওয়্যারের  শ্রমিক মো. মাসুদ, রিফাত হোসেন ও বাপ্পি দাস প্রমুখ।

মানববন্ধনে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ইউনাইটেড নীটওয়্যারের মালিক অধিকার সচেতন শ্রমিকদের ছাঁটাই করার হীন উদ্যেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ করে কারখানায় বিশৃংখল পরিবেশ তৈরি করেছে। সরকার ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো গত ডিসেম্বর মাস থেকে সকল কারখানায় বাস্তবায়ন করার সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মালিক তা করেনি। যার ফলে শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের নিকট বর্ধিত মজুরি বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি জানায়। তাঁরপর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সাথে আলোচনায় বসে তাঁদের সকল দাবি মেনে নিয়েছে কিন্তু নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি করলেও বর্ধিত মজুরির অনুসারে ওভারটাইমের মজুরি হার বৃদ্ধি করেনি।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পূর্বের মজুরি অনুযায়ী ঈদের আগে ওভারটাইমের মজুরি দেয়। এতে শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বর্ধিত মজুরি অনুযায়ী ওভারটাইমের মজুরি দেয়ার দাবি করেন। ফলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকদের জব্দ করার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার হয়রানি ও শ্রমিকের বাড়ি বাড়ি কিশোর গেং পাঠিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। ৪০ জন শ্রমিককে বে-আইনি ভাবে কারখানার বাহিরে রেখেছে। কাজে যোগদান করতে দিচ্ছে না। 

শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে শ্রমিকরা নাজেহাল তাঁর মধ্যে বে-আইনি ভাবে চাকুরিচ্যুতি, হুমকি-ধামকি, গ্রেফতার হয়রানি এসব বরদাস্ত করা হবে না। সংকট সমাধানের জন্য নারায়ণগঞ্জের কলকারখানা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শকের নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন, গ্রেফতার হয়রানি বন্ধ করে সকল শ্রমিকদের কাজে পুর্ণ বহল রেখে কারখানার উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলে কারখানা কর্তৃপক্ষের সকল অন্যায়-অত্যাচার ও জুলুমের উপযুক্ত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়