২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:০৮, ৯ জুন ২০১৮

আপডেট: ২২:৪৬, ৯ জুন ২০১৮

ঈদবাজার: অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা ও করণীয়

ঈদবাজার: অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা ও করণীয়

আফসানা আক্তার (প্রেস নারায়ণগঞ্জ): দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ঈদকে কেন্দ্র করে এর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে। আর এ সুযোগে একটি চক্র গ্রাহকদের সঙ্গে করছে প্রতারণা। অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেক সাধারণ গ্রাহক পণ্য কিনে নানাভাবে এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পণ্য সরবরাহ না করা এবং করলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। পণ্যের মূল্য পরিশোধ করলেও সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করারও অভিযোগ আছে।

এমন একটি ঘটনা ঘটে মুনা রহমানের সাথে। শুক্রবার (৮ জুন) মুনা রহমান ঘটনার ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন।

মুনা রহমানের বন্ধু সুমিত, চাষাঢ়া ডন চেম্বার এলাকার বাসিন্দা। ঈদে মুনাকে উপহার হিসেবে দেয়ার জন্য একটি পেইজ থেকে পায়েল অর্ডার করেন। বিক্রেতা পায়েলের মূল্য ও বাকি খরচ বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলেন। সুমিত বিক্রেতার কথা মতো ৫০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু টাকা পাবার পর থেকে বিক্রেতার সাথে কোনো যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বিক্রেতার মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মুনা রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেন, ‘আমার মনে হয় না এরপর থেকে কোনো সেলার আপুদের বিলিভ করতে পারবো। আমার বিএফ আমাকে ঈদ গিফট করারা জন্য এই চুন্নির কাছে অর্ডার করেছিল। বিকাশে টাকা পাঠানোর পর মোবাইল অফ! এমন হলে আর কেউ অনলাইন থেকে মনে হয় কিনবে না। সে ৫০০ টাকা মেরে খাইলে ধনী হতে পারবে না। এই রোজা রমজানের দিনেও কোন ভয় নাই। সমানে বাটপারি করে যায়!’

প্রতিনিয়ত মুনা রহমানের মতো কেউ না কেউ প্রতারিত হয়েই যাচ্ছে। অনলাইনে কেনাকাটায় যদি প্রতারণার শিকার হন, তাহলে প্রচলিত আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে।

কীভাবে আইনের আশ্রয়:

প্রথমেই অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাইট এবং কী ধরনের প্রতারণার শিকার হলেন তা সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে পণ্য কেনা বা হাতে পাওয়ার তারিখ হতে ত্রিশ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়েও মোকদ্দমা দায়ের করা যায় আদালতে। করা যায় প্রতারণার মামলাও। কিন্তু ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করাটা সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। অধিদপ্তর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেবে অধিদপ্তর। এ জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ ভোক্তাকে দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অবগত করতে পারেন। মনে রাখা জরুরি, আইনের আশ্রয় নিতে গেলে কিন্তু প্রমাণ থাকা চাই।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়