০১ মে ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:৩৪, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রথম বাধা টপকে গেছেন মুকুল

প্রথম বাধা টপকে গেছেন মুকুল

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শক্ত প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুলের মনোনয়ন বাতিলের চেষ্টা অবশেষে ভেস্তে গেছে। একটি পক্ষ মনোনয়ন বাতিলের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কর খেলাপের অভিযোগ এনে অভিযোগ দিয়েছিল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অনেকগুলো সরকারি অফিসে। কিন্তু মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। তাই যারা তাঁর মনোনয়ন বাতিলের চেষ্টা করেছিল তাদের সেই চেষ্টা বিফলে গেছে বলে মনে করছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা। 

জানা গেছে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে আছেন বন্দর উপজেলার ২ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল। বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কেউ কেউ। তাই তারা মনে করেছেন প্রথম সুযোগেই যদি মুকুলের মনোনয়ন বাতিল করা যায় তাহলে তাদের পথ অনেকটাই সুগম হয়। কিন্তু তাদের অভিযোগ আমলে না নেয়ায় প্রথম বাধা টপকে গেছেন আতাউর রহমান মুকুল। 

বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আতাউর রহমান মুকুল ছাড়া বাকিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান।

আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান আতাউর রহমান মুকুলকে করখেলাপী উল্লেখ করে অভিযোগ করেন, আতাউর রহমান মুকুল সিলভার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ২০১৩-২০১৪ করবর্ষ হইতে ২০১৯-২০২০ করবর্ষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭২ হাজার ৭২৭ টাকা বকেয়া এবং ২০২০-২০২১ করবর্ষ হইতে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ণ দাখিল করেন নাই বিধায় উক্ত প্রতিষ্ঠান কর খেলাপী হিসাবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। 

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আমি নেই তাই অভিযোগটি মিথ্যা। 

আতাউর রহমান মুকুল বিএনপির সাবেক সাংসদ ও মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের চাচাত ভাই। নিজের বিশাল কর্মীবাহিনী ছাড়া বন্দরের সব মহলে তাঁর ইতিবাচক গ্রহণযোগ্যতা আছে। তাই নির্বাচন দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন তিনি।

বন্দর উপজেলা নির্বাচনে পরপর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাই বিনা ভোটেই বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশীদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

আগামী ৮ মে বন্দর উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ। আরও অনেক পথ বাকি আছে নির্বাচনের। এখন দেখার বাকি মুকুল ঠেকাতে তাঁর বিরোধী পক্ষ ভোটগ্রহণের আগে আর কোন কোন কৌশল প্রয়োগ করেন। 
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়