২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ৬ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৭:২৫, ৬ নভেম্বর ২০২১

ওয়াকওয়েতে মোটরসাইকেলের দাপট, ভোগান্তিতে দর্শনার্থীরা

ওয়াকওয়েতে মোটরসাইকেলের দাপট, ভোগান্তিতে দর্শনার্থীরা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: শীতলক্ষ্যা নদী দখল এবং অবৈধ বালু ও পাথর ব্যবসা ঠেকাতে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয় ওয়াকওয়ে। দূর-দূরান্ত থেকে বিনোদনপিয়াসী লোকজন ছুটে আসে ওয়াকওয়ে দেখতে। বিশেষ করে বিকাল হলেই এটি পরিণত হয় লোকারণ্যে। নারী-পুরুষ, শিশু, বয়স্কদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে এই ওয়াকওয়ে। কিন্তু ওয়াকওয়েতে মোটরসাইকেলের দাপটের কারণে দর্শনার্থীরা অনেক ভোগান্তিতে পড়ছে। তাছাড়া অত্যাধিক পরিমাণে মোটরসাইকেল চলাচল করার ফলে ওয়াকওয়ের সৌন্দর্যও বিনষ্ট হচ্ছে।

সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর ওয়াকওয়েতে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ওয়াকওয়েতে মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে চলার ফলে ছোট ছোট নানা দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। এছাড়া এসব মোটরসাইকেলগুলো তীব্র হর্ণ দিয়ে চলার কারণে প্রচুর পরিমাণে শব্দ দূষণ হচ্ছে। আবার বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যারা দ্রুত গতিতে বাইক চালাচ্ছে এই ওয়াকওয়েতে। এতে করে ওয়াকওয়েতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হচ্ছে।

ঘুরতে আসা স্কুল শিক্ষক আসিফ আহমেদ বলেন, ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে পথচারীদের হাঁটার জন্য। কিন্তু শীতলক্ষ্যা পাড়ের এই ওয়াকওয়েতে এলে মনে হয় এটা পথচারীদের জন্য নয়, মোটরসাইকেল চালানোর জন্য নির্মিত হয়েছে। পরিবার নিয়ে হাটতে এসে মোটরসাইকেলের জন্য ঠিকমতো ওয়াকওয়ে ব্যবহার করার সুযোগই পেলাম না।

কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, ওয়াকওয়েতে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চলাচল করার ফলে তারা নদীর পাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন না। এছাড়া অনেক নারী দর্শনার্থী ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন। পরিবার নিয়ে হাটার পরিবেশ এখন আর নেই। তাদের মতে, এই ওয়াকওয়ে নির্মিত হওয়ার সাথে সাথেই প্রশাসনের উচিত ছিল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেনো ওয়াকওয়েতে মোটরসাইকেলসহ যেকোনো যানবাহনই চলাচল করতে না পারে। এভাবে চলতে থাকলে ওয়াকওয়ের সৌন্দর্য বেশিদিন টিকবে না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান পিপিএম-বার বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করে নাই। তবে যারা ওয়াকওয়েতে বাইক চালায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়