১১ মে ২০২৪

প্রকাশিত: ২২:০৭, ১৪ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ২২:০৮, ১৪ মার্চ ২০২৩

বন্দরে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজুর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২

বন্দরে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজুর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. মামুন। গত সোমবার দুপুরে বন্দর থানাধীন মুখফলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামনে রাজু ওরফে স্ট্যান্ড রাজু ও আকিব হাসান রাজুর মধ্যকার সংঘর্ষের সময় মামুনকে একা পেয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে কুপিয়ে আহত করে আকিন হাসান রাজু গং। এব্যাপারে আহতের স্ত্রী মামুন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে ৭-৮জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় আসামীরা হলেন, বন্দর থানার চিনারদী এলাকার শাহ আলম মিয়ার ছেলে আকিব হাসান রাজু (৩২), মুখফলদি এলাকার আল-আমিন ওরফে কালু(২৮), নয়ানগর এলাকার শামীম (৩২), রুস্তমপুর এলাকার কামাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. আরিফ (৩২), হাসান(৩০), হাজীপুর এলাকার পাভেল, চুনাভূড়া এলাকার পারভেজ(৩৫), জামাইপাড়ার মাসুম ও লেজারার্স এলাকার শামীম।

পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে এজহারভুক্ত আরিফ ও অজ্ঞাত হিসেবে লিটন নামের ২ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

এজহার সুত্রে জানা গেছে, আহত বালুচর ছোনখোলা এলাকার মো. মামুনের সঙ্গে উল্লেখিত আকিব হাসান রাজু ওরফে চুল্লা রাজুর ড্রেজার ও বালু ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিলো। এরই জের ধরে গত সোমবার দুপুর ১২ টায় মামুন তার ব্যবসায়িক কাজে বালুচর থেকে কল্যান্দির উদ্যেশ্যে বের হলে মুখফলদি প্রাইমারি স্কুলের সামনে পৌছালে পাশে দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উৎপেতে থাকা উল্লেখিত আসামিরা তার পথরোধ করে গালাগালি করতে থাকলে। এতে বাধা দিলে আকিব হাসান রাজু ও আরিফ তাদের হাতে থাকা রামদা দিয়ে মামুনের মাথায় এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে অন্যান্য আসামিরা তাকে বিভিন্ন ধারালো ছুরি দিয়ে উপুর্যুপরি আঘাত করতে থাকে।খবর পেয়ে তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় মামুনের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি সনামধন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে৷ এঘটনায় মামুনের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য সেলাই পড়েছে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটকও করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, নুরবাগের রাজু ও চিনারদীর রাজু উভয়ই যুবলীগ নেতা খান মাসুদের অনুসারী। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এর আগেও একাধিকবার মারামারি হয়েছে। এরমধ্যে চিনারদী এলাকার আকিব হাসান রাজু ওরফে টোকাই রাজুর বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা চাঁদাবাজির সহ ৮/১০ টি মামলা রয়েছে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়