২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ৬ এপ্রিল ২০২১

সোনারগাঁয়ে লাইভে এসে সাংবাদিক পেটালেন হেফাজত কর্মীরা

সোনারগাঁয়ে লাইভে এসে সাংবাদিক পেটালেন হেফাজত কর্মীরা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার দিন তথ্য সংগ্রহ করতে রিসোর্টে যাওয়ায় হাবিবুর রহমান নামের এক সাংবাদিককে মারধর করে দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। হামলার সময় মারধর ছাড়াও ওই সাংবাদিককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হকের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় ওই সাংবাদিকের স্ত্রীও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে সোনারগাঁয়ের সনমান্দি নাজিরপুর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সাংবাদিক চ্যানেল এস নামের একটি গণমাধ্যমের সোনারগাঁও প্রতিনিধি।

মারধরের শিকার হাবিবুর রহমানের ভাই মোফাজ্জল হোসেন প্রেস নারায়ণগঞ্জকে জানান, সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় তার বড় ভাই হাবিব বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়িতে ঢুকে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই সাংবাদিককে টেনে হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধরক পেটায়। এতে তার ভাইয়ের একটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। স্বামীকে মারধরে বাঁধা দিতে আসলে হেফাজতের কর্মীরা হাবিবের স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করে। মোফাজ্জল বলেন, মারধরের পর তারা ফেসবুক লাইভে এসে আমার ভাইকে মামুনুল হকের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। এ সময় তাদের শেখানো মতো কথা না বলায় হাবিবকে আবারো মারধর করা হয়। কোন ধরনের উপায় না পেয়ে তিনি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করলে সোনারগাঁ থানা পুলিশ এসে তার ভাই হাবিবকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিকের ক্ষমা চাওয়ার লাইভটি ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, মামুনুলের অনুসারীরা সাংবাদিক হাবিবকে লাঞ্ছিত করছে। তাদের মধ্যে একজন বলছে, ‘হুজুরের (মামুনুল হক) কাছে মাফ চাইতে হবে, হুজুর যাতে আপনাকে ক্ষমা করে দেয় এ জন্য।’ আরেকজন বলছে, ‘আপনি বলবেন হুজুরের (মামুনুল হক) কাছে আমি ক্ষমা চাই। সাংবাদিক হিসেবে সেখানে গিয়ে ভুল করেছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।‘ তাদের কথা মতো ক্ষমা না চাওয়ায় সাংবাদিক হাবিবকে টেনে হিঁচড়ে মারধর করে সড়কের পাশে নিয়ে যায় হেফাজত কর্মীরা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। মঙ্গলবার ওই সাংবাদিককে দেখতে হাসপাতালে যান সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়