আড়াইহাজার ও বন্দর থেকে ইজিবাইক চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার ও বন্দর এলাকা হতে ইজিবাইক চোর চক্রের অন্যতম মূলহোতা মাসুদুর রহমান ওরুফে শামীমসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। এসময় চুরির কাজে ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল জব্দ ও চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার ২৬ মার্চ পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আড়াইহাজার থানার মারুয়াদী চৌরাস্তা এলাকা থেকে মাসুদুর রহমান শামীম (৩৫), মো. রাজিব হোসেন (৩৪) কে ও বন্দর থানার পিচকামতাল মধ্যপাড়া এলাকা থেকে মো. আব্দুল মান্নান (৪০), মো. ইকবাল হোসেন (৪০), মো. আব্দুল হান্নান (৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, একটি ইজিবাইক চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ইজিবাইক চোর চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রথমে আড়াইহাজার থেকে মাসুদুর রহমান শামীম, মো. রাজিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল জব্দ ও চোরাইকৃত ২টি ইজিবাইক, ২টি স্পেয়ার চাকা ও ২টি সাংবাদিকের ভূয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি ও তথ্যমতে পরে বন্দর থানার পিচকামতাল মধ্যপাড়া এলাকা থেকে ইজিবাইক চোর চক্রের অপর ৩ সদস্য মো. আব্দুল মান্নান, মো. ইকবাল হোসেন, মো. আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে চোরাইকৃত ৩টি ইজিবাইক ও ২টি স্পেয়ার চাকা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত হান্নান, ইকবাল ও মান্নানের দেওয়া তথ্যমতে বন্দর থানার কুড়িপাড়া ও পিচকামতাল এলাকায় অপর দুইটি অভিযানে চোরাইকৃত আরো ৯টি ইজিবাইক ও ৫টি স্পেয়ার চাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ইজিবাইক চোর চক্রের অন্যান্য আসামিরা অভিযানের সংবাদ পেয়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত মাসুদুর রহমান শামীম ইজিবাইক চোর চক্রটির মূলহোতা। সে গ্রেফতারকৃত রাজিব, হান্নান, ইকবাল, মান্নান ও পলাতক অন্যান্য আসামিদের নিয়ে একটি ইজিবাইক চোরচক্র গড়ে তোলে। তাদের মধ্যে রাজিব চোর চক্রের অন্যতম মূল হোতার প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করত। রাজিব কখনও নিজেকে বিভিন্ন টিভি ও পত্রিকার সাংবাদিক আবার কখনও নিজেকে পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিত। শামীম ও রাজিব দুইজন মিলে মোটরসাইকেল সহযোগে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তাদের টার্গেট ও স্থান নির্ধারণ করত। পরবর্তীতে তাদের নির্ধারিত টার্গেট (বিভিন্ন ইজিবাইক) ভাড়া করে তাদের পরিকল্পিত ও সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন, কখনও চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে ভিকটিমদের অচেতন করে আবার কখনও সাংবাদিক ও পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ভিকটিমদের ইজিবাইক ছিনতাই, চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যেত।