২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:২৮, ২৭ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ২০:২৯, ২৭ মার্চ ২০২৩

শহরে ‘কৃষকের বাজার’ পরিধি বাড়িয়ে স্থায়ী করার দাবি

শহরে ‘কৃষকের বাজার’ পরিধি বাড়িয়ে স্থায়ী করার দাবি

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির দিক বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ শহরে ‘কৃষকের বাজারের’ পরিধি বাড়িয়ে স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। এই বাজারে এই বাজারে সরাসরি কৃষক উৎপাদিত শাক ও সবজি বিক্রি করেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) দু’টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্টের অর্থায়নে এক প্রকল্পের আওতায় গত ৩০ সপ্তাহ যাবৎ চলছে ‘কৃষকের বাজার’।

সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এর পরিধি বাড়িয়ে স্থায়ী করার দাবি ওঠে।

সভায় বক্তারা বলেন, কৃষকের বাজারে যে পণ্যগুলো আসে তা নিরাপদভাবে উৎপাদিত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে কৃষক তার সবজি উৎপাদনের পর তা সরাসরি নিজে এই বাজারে বিক্রি করেন। নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির দিক থেকে বিবেচনায় কৃষকের বাজারের চাহিদা ও প্রয়োজন উভয়ই রয়েছে। প্রকল্প শেষে বাজারগুলো চলমান রাখতে হলে সিটি কর্পোরেশনের সম্পৃক্ততা আবশ্যক। নাসিকের তত্ত্বাবধানে কৃষকের বাজার টেকসই করা সম্ভব। কৃষকের বাজারের পরিধি বাড়িয়ে সবগুলো ওয়ার্ডে সম্প্রসারণেরও দাবি জানানো হয়।

এক্ষেত্রে ক্ষেত থেকে বাজার পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের জন্য কৃষককে প্রণোদনা প্রদানেরও প্রস্তাব ওঠে আলোচনায়। এই বিষয়ে আলোচনার পর সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন নাসিক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস।

ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নারায়ণগঞ্জের ফুড সিস্টেম সিটি কো-অর্ডিনেটর আনোয়ারুল ইসলাম। এই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা ‘কৃষকের বাজার’ সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

নগরীর দুই নম্বর রেলগেইটে একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রকল্প সম্পর্কিত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প কর্মকর্তা অপর্ণা মৌটুসী। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল জিআইএস স্পেশালিস্ট সায়মুন্নাহার রিতু।

এই সভায় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানান প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট দুই কৃষক ফিরোজ আলম ও শরীফ উদ্দিন। চাহিদা থাকলে সরাসরি বাজারে এসে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রিতেও মুনাফা থাকে বলে জানান তারা।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। কাঁচা বাজার উন্নয়ন, ছাদকৃষি, কৃষকের বাজারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। কৃষকদের নিরাপদ চাষ ও কৃষি ব্যবসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলী থেকে দু’টি কৃষকের বাজারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মোট ৬০ জন নিরাপদ চাষ করেন এমন কৃষককে সম্পৃক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রতি বাজারে ১০ জন কৃষক উপস্থিত থাকেন। বাজারগুলো টেকসই করা গেলে খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা সম্ভব।

নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও ঢাকাসহ একাধিক সিটি করপোরেশনে ‘কৃষকের বাজার’ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বলেও জানান আনোয়ারুল।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়