শিশু গণধর্ষণ: ফাঁসির আসামি ১৯ বছর পর গ্রেপ্তার

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার আলীরটেক এলাকায় দশ বছরের এক শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহাদাতকে (৩৮) ১৯ বছর পলাতক থাকার পর গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

গ্রেপ্তারকৃত শাহাদাত নারায়ণগঞ্জে সদর থানার আলীরটেক এলাকার শুকুর আলীর ছেলে।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক প্রেস বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানান। এর আগে শুক্রবার রাতে শাহাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়াও গত ২৩ অক্টোবর একই মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সুজনকেও গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। একই মামলায় আরও দুই পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে র‌্যাব অভিযান চালাচ্ছে।

র‌্যাব জানায়, ২০০৩ সালের ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আলীরটেক এলাকায় ১০ বছরের এক শিশু গণধর্ষণপূর্বক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে শিশুটির লাশ সরিষা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় এবং লাশটি আলীরটেক এলাকার আলী আকবরের মেয়ে বলে সনাক্ত হয়। এ ঘটনায় নিহত শিশুটির ভাই বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ধর্ষণের পর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০১৮ সালের ১১ জুন নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মামলার পলাতক চার আসামিকে গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃত শাহাদাত ঘটনার পরই ফতুল্লার কাশিপুরে ফুফুর বাড়িতে আতœগোপন করে। এরপর ২০০৬ সালে সে কাতার চলে যায়। চার বছর পর শাহাদাত দেশে ফিরে আসেন। পরে শাহাদাত গাজীপুরের শ্রীপুরে চলে যান। গত ৭-৮ থেকে বছর সেখানে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। মূলত গ্রেপ্তার এড়াতে এতোদিন সে গাজীপুরেই লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি শাহাদাতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পলাতক অন্য দুই আসামিকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে র‌্যাব জানায়।