২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:১০, ২১ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ২১:১০, ২১ এপ্রিল ২০২২

খোকন সাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

খোকন সাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোকন সাহার ঘনিষ্ঠ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা। তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।

গত বছরের ৪ জানুয়ারি সাইবার ট্রাব্যুনালে মামলাটি করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। মামলাটি তদন্তের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মামলায় সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী অভিযোগ করেন, ‘হিন্দু লাইভস ম্যাটার’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যে তাকে জড়িয়ে হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন খোকন সাহা। এ সংক্রান্ত দু’টি ভিডিও ওই ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হওয়ার কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ভিডিও দু’টির দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড এবং ১২ মিনিট ৪২ সেকেন্ড। ওই ভিডিওগুলোতে পরিকল্পিতভাবে তাকে জড়িয়ে আক্রমনাত্মক বক্তব্য দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন, অপমান অপদস্ত করা এবং রাজনৈতিকভাবে ফায়দা হাসিল করারও অভিযোগ করেছেন সিটি মেয়র আইভী।

২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় করা এই মামলা করা হয়। মামলার অপর আসামি ‘হিন্দু লাইভস ম্যাটার’ নামক ইউটিউব চ্যানেলটির প্রকাশক ও সঞ্চালক কানাডা প্রবাসী প্রদীপ দাস।

অ্যাডভোকেট খোকন সাহা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী। জিউস পুকুর ইস্যুতে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগও তোলেন নাসিক মেয়র আইভীর অনুসারীরা। এদিকে মামলার পর এক অনুষ্ঠানে খোকন সাহা বলেছিলেন, তিনি এই মামলায় জামিন নেবেন না। সাংসদ শামীম ওসমানও একই কথা বলেছিলেন। ২৯ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী হওয়ার পর সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘খোকন সাহার নামে মামলা হয়েছে। আমরা চাই মামলার চার্জশিটও হোক। খোকন সাহা যদি জেলে যায়, যাক। এরপর আমরা দেখবো নারায়ণগঞ্জ কেমন হয়। আপনারা সাংবাদিকেরা তখন লাখ লাখ ছবি তোলার সুযোগ পাবেন। খোকন সাহা জেলে গেলে তখন হয়তো আমরা আবার একটু আগের বয়সে ফিরে যেতে পারবো। নারায়ণগঞ্জ শহরে তখন শুধু মাথা আর মাথা দেখবেন। খোকন সাহা জামিন নেবেন না, জামিন চাইবেনও না। আমাদের রক্তে বঙ্গবন্ধুর রক্ত বইছে। ২৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আছে খোকন সাহা। এই ছোট-খাটো মামলাতে জামিন নেওয়ার জন্যে এখানে বইসা নাই।’

এদিকে গত নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্বে যুবলীগের এক নেতার কাছ থেকে সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অ্যাড. খোকন সাহা। খোকন সাহার চাঁদা চেয়ে যুবলীগ নেতার সাথে ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়