২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ২১:০০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

ছাত্র ফ্রন্টের ১০ম জেলা কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

ছাত্র ফ্রন্টের ১০ম জেলা কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার ১০ম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরি জয় কাউন্সিল উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

কাউন্সিল উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ, আলোচনাসভা, নতুন কমিটি পরিচিতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন শেষে শহিদ মিনার থেকে একটি বর্নাঢ্য মিছিল বের হয়ে আলী আহম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।

কাউন্সিলে মুন্নি সরদারকে সভাপতি ও ফয়সাল আহম্মেদ রাতুলকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি নির্বাচিত হয়। কমিটির অন্যান্যরা হল, সহ-সভাপতি রিনা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক নাসিমা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক শিহাব মৃধা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাকিবুল হাসান রবিন, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মো. নিশাদ আহম্মেদ, পাঠাগার সম্পাদক অপির্তা ঘোষ, সদস্য শাহ্ মোহাম্মদ মানজুরুল, পার্বন চৌহান, রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ, মুসকান আক্তার, সাদিয়া ও শুভ আহম্মেদ।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত পাঠচক্র ফোরামের সদস্য জর্নাদন দত্ত নান্টু, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল কাদেরী জয়, ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলার অর্থ সম্পাদক ও কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মুন্নি সরদার, ফতুল্লা থানার আহ্বায়ক ও কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ফয়সাল আহম্মেদ রাতুল প্রমুখ। আলোনাসভা শেষে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত কমিটি পরিচয় করিয়ে দেন ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি সুলতানা আক্তার।

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দেশের সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ হয়ে থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর খোলা হয়েছে। কিন্তু বন্ধ থাকা সময়ের শিক্ষা ঘাটতি কিভাবে পূরণ করা হবে সেটা নিয়ে সরকারের কোন ধরনের রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়নি। এর মধ্যে করোনাকালীন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন চালু রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে এক চরম অনিশ্চয়তা ও হতাশা বিরাজ করছে। প্রাথমিকস্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী ও ৫০ লাখ শিক্ষক। এর প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনই আজ বির্পযস্ত ও অনিশ্চিত। আজকে এই অনিশ্চিত জীবন থেকে রক্ষা পেতে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিচ্ছে শির্ক্ষাথীরা। করোনার প্রভাবে ব্যাপক শিক্ষার্থী ঝড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, বেড়েছে বাল্যবিয়েও। বিআইডিজি এর এক গবেষনায় এসেছে ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রচন্ড মানসিকচাপের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছে। অন্যদিকে শিক্ষাকে পণ্যে পরিনত করেছে, টাকা যার শিক্ষা তার এই নীতিতে চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। এই নীতিতে যদি চলতে থাকে তাহলে অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়বে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের ধনী জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই জেলায় শিক্ষা চরম সংকটগ্রস্থ। এখানে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। নেই একটি মেডিক্যাল কলেজ। গত কয়েক বছর যাবৎ মেডিক্যাল কলেজের কাজ হচ্ছে কিন্তু সেটা খুবই ধীরগতিতে। নারায়ণগঞ্জে ছাত্র সংখ্যার তুলনায় সরকারি স্কুল কলেজ অপ্রতুল। শিল্প শহর হওয়ায় এখানে শ্রমজীবী মানুষের বাস বেশি। কিন্তু সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম হওয়ায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাহাড় পরিমান খরচ মিটিয়ে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের সন্তানদের পক্ষে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে শিক্ষার স্তরে স্তরে
ঝরে পড়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী।

ঝড়ে পড়া রোধে সরকারি উদ্দ্যোগে নতুন নতুন স্কুল কলেজ নির্ণমানের দাবি জানান। একই সাথে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বাঁচাতে দ্রুত সকল শিক্ষার্থীদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে র্কাযকর পদক্ষেপ নেওয়া ও শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা মওকুফ, সরকারের তরফ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান এবং শিক্ষার্থীদের বাসাভাড়া, মেসভাড়া মওকুফে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়