২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:২৫, ১৯ অক্টোবর ২০২০

আপডেট: ১৬:৪৩, ২০ অক্টোবর ২০২০

বড় ভাইকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন কাউন্সিলর রুহুল

বড় ভাইকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন কাউন্সিলর রুহুল

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ তুলেছিলেন তারই আপন বড় ভাই নুরুল আমিন খোকন মোল্লা। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ খোকন মোল্লার। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর রুহুল মোল্লা। সোমবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২টায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে ওইদিনের ঘটনার অদ্যোপান্ত তুলে ধরেন কাউন্সিলর রুহুল। আপন বড় ভাই খোকন মোল্লাকে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেন।

রুহুল আমিন বলেন, মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত থাকায় কয়েকবার তাকে (খোকন মোল্লা) বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসারও অনেকবার ব্যবস্থা করেও ব্যর্থ হইছি। ২৫ বছর যাবত আমরা ভুক্তভোগী। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির তিনটা রুম ভাড়া দিয়া আমার মা বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল পরিশোধ করতো। কিন্তু ওই রুমগুলো দখল কইরা সেই রুমে বইসা খোকন তার মেয়ের জামাই, শালা, সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মাদক সেবন করে। মা বাধ্য হয়ে আমাদের জানায়। পরে তার কথামতো আমরা এক সপ্তাহের জায়গায় এক মাস সময় দেই। পরে সে মায়ের জন্য রুমগুলো ছাড়তে নারাজ হয়। মাকে বকাঝকা করে রুমগুলো তালা মেরে দেয়। গত বুধবার মা আমাকে ফোনে এই কথা জানালে আমি একটা লাঠি হাতে আইসা দেখি খোকন আমার বাসার সামনে হৈ-চৈ করতেছে। পরে আমি তারে বাসার সামনে থেকে সরে যাওয়ার জন্য একটা ধাক্কা দেই। কোনো প্রকারের মারধর তাকে করা হয়নি। সেখানে আমার মা, চাচা, চাচাতো ভাই ছিল। মারধরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে আগুন দেওয়ারও অভিযোগ করেছিলেন বড় ভাই নুরুল আমিন খোকন মোল্লা। আগুন দেওয়ার বিষয়ে ছোট ভাই কাউন্সিলর রুহুল আমিন বলেন, ‘সে মাদক ব্যবসা ও সেবন করে। থানায় তার বিরুদ্ধে কয়েকটা মামলা আছে, গ্রেফতারও হয়েছে সে। এইসব বিষয়ে আমরা তাকে বারবার নিষেধ করেছি। এই কারণে সে আমাদের জব্দ করতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়েছে। আমি বিষয়টি আচ করতে পেরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে রেখেছি।’

একই কথা বললেন রুহুল আমিন ও নুরুল আমিনের মা জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘মাদক না খাইতে বারবার নিষেধ করছি। ভাড়াটিয়াগুলারে তাড়াইয়া দিছে। ভাড়াটিয়া না থাকায় গ্যাসের চুলা খুলে ফেলতে চেয়েছিলাম। আমারে খুলতে না দিয়া আমারে বাইর কইরা দিয়া ঘর তালা মাইরা দেয়। পরে আমি আমার ছোট পোলারে ডাক দিছি। তবে ওইদিন মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

এদিকে দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের ধনকুন্ডা এলাকায় খোকন মোল্লার বাড়িতে গেলে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে পারবো না।’ মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এইগুলো যারা বলে তাদের গিয়ে জিজ্ঞেস করেন।’ তবে মাদকসহ গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়