০৮ মে ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ১৮ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ২১:৩৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২২

বার নির্বাচন: জুয়েল-রনী পূর্ণ প্যানেলে এগিয়ে

বার নির্বাচন: জুয়েল-রনী পূর্ণ প্যানেলে এগিয়ে

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারও পূর্ণ প্যানেলে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। গত কয়েক বছর যাবৎ আইনজীবী সমিতিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। গতবারও পূর্ণ প্যানেলে বিজয় পায় সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীরা। এবারও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত অ্যাড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও অ্যাড. রবিউল আমীন রনী নেতৃত্বের প্যানেল ১৭টি পদেই এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় নির্বাচন কমিশন সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ৫০০ ভোট গণনা করা হয়েছে। তাতে জুয়েল-রনী প্যানেলের ১৭ জনই এগিয়ে আছেন।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পেশাজীবী সংগঠন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির (বার) কার্যকরী পরিষদের (২০২২-২৩) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. সামসুল আলম ভূঁইয়া জানান, ১০৩৮ ভোটারের মধ্যে ৯৯২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি পদে হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক পদে রবিউল আমীন রনী, সিনিয়র সহসভাপতি পদে আলাউদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি পদে সুবাস বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক পদে মাহমুদুল হক মমিন, কোষাধ্যক্ষ পদে আবুল বাশার রুবেল, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে স্বপন ভূঁইয়া, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে হাছিব উল হাছান (রনি), ক্রীড়া সম্পাদক পদে সোহেল আজাদ, সাহিত্য সম্পাদক পদে রাজিয়া আমিন কানচি, সমাজসেবা সম্পাদক পদে মোহাম্মদ রাশেদ ভূঁইয়া এবং আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে আব্দুল মান্নান রয়েছেন। এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে এরশাদুজ্জামান ইমন, হালিমা আক্তার, হোসেন আহম্মদ, মেরাজ সরকার এবং অঞ্জন দাস প্রার্থী হয়েছেন।

এদিকে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে। সাধারণ আইনজীবী ছাড়াও সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা আদালতপাড়ায় থাকলেও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। দুপুর তিনটার দিকে আদালতপাড়ায় আসেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান। তিনি কিছুক্ষণ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্যান্ডেলে বসেন। পরে সার্কিট হাউজের ভেতরে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখান থেকে বের হননি তিনি। এছাড়া আদালতপাড়ায় দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হাসান নিপুসহ বেশ কয়েকজনকে।

তবে এইবার আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। লিখিত ঘোষণা দিয়েই এই নিষেধাজ্ঞা জানায় নির্বাচন কমিশন। সাধারণ আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের বাইরে থাকা দুই প্যানেলের প্রার্থীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেছেন, এটি নির্বাচন কমিশনের হঠকারী সিদ্ধান্ত। ভোট চুরি যাতে বিনা বাধায় করতে পারে তারই অপপ্রয়াস। তবে নির্বাচনে অনিয়ম বা কারচুপি হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ রাত দশটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেউ করেননি। তখনও ভোট গণনা চলছিল।

উল্লেখ্য, জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের ১৭ পদের জন্য তিন প্যানেল থেকে লড়েছেন মোট ৪০ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। বিদ্রোহী প্যানেল থেকে ৬টি পদের জন্য প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়