রফিক-মিজানের গ্রেফতারের দাবি মন্ত্রী গাজীর
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে বাড়িঘরে আগুন, ভাঙচুর ও লুটপাটে সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তাঁর ছোট ভাই মিজানুরকে দায়ি করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। মন্ত্রী গাজী তাদের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে কায়েতপাড়ার নাওড়া এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেন পাটমন্ত্রী।
মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘প্রশাসন শক্ত ভূমিকায় থাকলে এত বড় সহিংসতার ঘটনা ঘটত না। সন্ত্রাসীরা দীর্ঘ সময় ধরে তা-ব চালিয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুরের পর লুটপাট করেছে, আগুন দিয়েছে, নৌকার সমর্থকদের মারধর করেছে, তাঁদের ওপর গুলি চালিয়েছে। পুলিশের ভূমিকা বোঝা যাচ্ছে না। হয়তো তারা সেখানে ছিল না অথবা তারা নীরব ছিল।’
এ হামলার জন্য কায়েতপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তাঁর ছোট ভাই মিজানুরকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘মিজানুর তৃতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। নাওড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুরের এলাকা। এ এলাকার লোকজনকে নৌকায় ভোট দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। নিষেধ অমান্য করে লোকজন নৌকায় ভোট দিয়েছেন। এ কারণেই বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে তাঁদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সকলের গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউপির নাওড়া গ্রামে সহিংসতার ঘটনা চলে। এই সময় গোলাগুলি, বাড়িঘরে আগুন, হামলা, লুটপাট চলে। এতে গুলিবিদ্ধ হন তিনজন। আহত আরও কয়েকজন।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম