০৩ মে ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:১২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এম ডব্লিউ স্কুলের বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক গাজী নাজমুল হুদাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর এক চিঠি দেয়া হয়। যেখানে তার বিষয়ে আনীত অভিযোগসমূহ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও সপদে পুনর্বহালের জন্য বলা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও ব্যানবেইসের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারকে এই চিঠির অনুলিপিও দেয়া হয়।

কিন্তু বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও কিছু অভিভাবকদের দিয়ে মানববন্ধন করানোর অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রওশন আরা আক্তার ও সহকারী শিক্ষক লিপি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাব্বির আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে স্কুলের সামনে কিছু অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, স্কুলের শিক্ষকরা তাদের মানববন্ধনে দাঁড়াতে বলেছেন। কিন্তু তারা জানে না কেন দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, ৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৯৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী প্রধান শিক্ষক গাজী নাজমুল হুদাকে বরখাস্ত করেন স্কুলের তৎকালীন এডহক কমিটি। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করলে তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) জনাব গাজী নাজমুল হুদা-এর চূড়ান্ত বরখাস্তের স্বপক্ষে আনীত অভিযোগসমূহ বিস্তারিত আলোচনা, তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে ১৬ জুলাইয়ের আপিল এন্ড আরবিট্রেশন কমিটির সভায় ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও স্বপদে পুর্নবহালের জন্য সুপারিশ করা হয় এবং ২১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ২২৮তম বোর্ড সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) গাজী নাজমুল হুদা-কে স্বপদে পুর্নবহাল করার বিষয়টি অনুমোদন লাভ করে।

এমতাবস্থায়, পত্র ইস্যুর তারিখ হতে ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) গাজী নাজমুল হুদা-কে স্বপদে পুর্নবহাল করে বোর্ডকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রধান শিক্ষক গাজী নাজমুল হুদা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রওশন আরা আক্তার ও সহকারী শিক্ষক লিপি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শিক্ষক লিপির স্বামী সাব্বির আহমেদ ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম রাজু কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও কিছু অভিভাবক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়েছেন। ইতঃপূর্বে আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছিল এবং অবৈধ প্রক্রিয়ায় আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেগুলো প্রমাণিত না হওয়াই বোর্ড আমাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় দেয়া সহকারী শিক্ষক লিপির কাগজপত্র কিছুই ঠিক ছিল না। পরে বোর্ডে অনলাইন করার সময় তাকে কাগজপত্রের ঝামেলা শেষ করে আপলোড দিতে বলেছিলাম। এতে তার মনে হয়েছিল আমি তার চাকুরি খেয়ে ফেলার চেষ্টা করছি। তখন থেকে তারা আমার পিছনে লেগেছেন।

এই বিষয়ে আদমজী এম ডব্লিউ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রওশন আরা আক্তার বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক গাজী নাজমুল হুদা পুনরায় যোগদান করতে চাচ্ছেন, এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়