২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮:৫০, ১ অক্টোবর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জে প্রগতি লেখক সংঘের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জে প্রগতি লেখক সংঘের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের ঢাকা বিভাগীয় সাহিত্য ও সাংগঠনিক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নগরীর আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার ও নগর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কবি ড. গোলাম কিবরিয়া পিনু। কর্মশালায় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিমল কান্তি দাস। 

কর্মশালায় কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু 'প্রগতি লেখক সংঘের ঐতিহ্য ও লেখক-শিল্পীদের ভুমিকা', কবি দীপংকর গৌতম 'সাহিত্য ও লেখকের দায়' বিষয়ে আলোচনা উপস্থান করেন। পরে 'সংগঠন গড়ে তোলার সমস্যা ও করণীয়' বিষয় এবং 'সাহিত্য-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে দূর্বলতা ও করনীয়' বিষয়ে গ্রুপ আলোচনা ও মতামত প্রদান করা হয়। 

কর্মশালার বিভিন্ন পর্বে প্রগতি লেখক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কবি ড. গোলাম কিবরিয়া পিনু, সাধারণ সম্পাদক কবি দীপংকর গৌতম, সহ-সভাপতি কথা সাহিত্যিক শামসুজ্জামান হীরা, কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক কবি দিনবন্ধু দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ. ম. কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিমল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি লেখক মুজিব রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য আবৃত্তিকার তিথি সুবর্ণা, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সংগঠক কবি রঘু অভিজিৎ রায়, জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক রাজলক্ষী প্রমূখ আলোচনা করেন। 

কর্মশালায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওপর নানান ধরনের আগ্রাসন চলছে। বিভিন্ন প্রকার কালো আইন জারি থাকায় লেখকরা সত্য কথা লিখতে ভয় পাচ্ছে। কোথাও কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান ও হামলা করা হচ্ছে। 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' ও 'অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা' বিলে সংস্কৃতি কর্মীদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ও সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতিকে শাসকশ্রেণি লালন পালন করছে। গণতন্ত্র ও মানুষের মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও কবিদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে এবং সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাড়াও ঢাকা বিভাগের ১০টি জেলা থেকে প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়