২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:০৮, ১১ মার্চ ২০২৪

প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে আগ্রহ হারাচ্ছে ভোটাররা 

প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে আগ্রহ হারাচ্ছে ভোটাররা 

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে আগ্রহ হারাচ্ছে ভোটাররা। একদিকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোট বর্জন করছে অন্যদিকে স্থানীয় এমপিরা সহজ জয় নিশ্চিত করতে একক প্রার্থী দিচ্ছে। আবার সেই প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে তুলনামূলক শক্তিশালী প্রার্থীকে বসিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটছে। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় কে বিজয়ী হবেন তা ভোটের আগেই নির্ধারিত হয়ে যাওয়ায় ভোটের দিন কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ হারাচ্ছেন ভোটাররা। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক উঠিয়ে দিলেও তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের । 

সাম্প্রতিককালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সেখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি আবার একতরফা নির্বাচনে ভোটের হার কম। সর্বশেষ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন উপনির্বাচনে মাত্র ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৬ জন ভোটারের ২২ হাজার ৫২৮ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা নির্বাচনের আগ্রহ দেখালেও পরে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলামকে একক প্রার্থী করা হয়। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মীর সোহেল আলী,আজমত আলী,আবু মো.শরীফুল হক, মুজিবুর রহমানসহ অনেকেই। নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ফাইজুল ইসলাম ছাড়া কেউই আলোচনায় ছিলেন না। এমপির নির্দেশে জাতীয় পার্টির নেতা কাজী দেলোয়ার হোসেন বসে যাওয়ার গুঞ্জন ছিল রাজনীতির মাঠে। 

অনেকে বলছেন সাধারণ ভোটারতো দুরের কথা আওয়ামী লীগের ভোটাররাও এখন ভোট দিতে কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। কারণ হিসেবে তারা দুষছেন একজন প্রার্থীর সহজ জয় নিশ্চিত করতে অন্যান্য প্রার্থীদের বসিয়ে দেয়া কিংবা আগ্রহী প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখাকে। 

শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এবারের জাতীয় নির্বাচনেও নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসনে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। জেলার অন্য আসনগুলোতে যেখানে ৫০ শতাংশের উপর ভোট পড়েছে সেখানে এই দুইটি আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৩৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, 'এটি সারা বাংলাদেশেরই চিত্র। প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ তো দূরের কথা একটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনো নির্বাচনও হচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরাই মূলত নির্বাচনটা করছে তাদের মতো করে। তাদের বিপরীতে যারা আছেন তারা এক ধরনের ডামি প্রার্থীই বলা চলে। সে কারণে নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনটা একেবারেই নিরুত্তাপ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন।'

'এটা জনগণের জন্য সুখকর নয়। কেননা নির্বাচন বলতে জনগণ বোঝে বিকল্প থেকে বেছে নেওয়া। যেহেতু বিকল্প নেই সুতরাং তারা ভোটকেন্দ্রে যেতেই আগ্রহী হবে না বলে মনে করি।'
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়