৩০ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:৫০, ১৫ জুলাই ২০১৯

চাষাঢ়ায় সড়কের মাঝে যাত্রী ওঠা-নামা, ভোগান্তি

চাষাঢ়ায় সড়কের মাঝে যাত্রী ওঠা-নামা, ভোগান্তি

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ত স্থান চাষাঢ়া চত্বর। এই স্থানটিতে দিনের অধিকাংশ সময়ই যানজট দেখা যায়। যার একাধিক কারণের মধ্যে একটি সড়কের মাঝে যানবাহন থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করা। সড়কে যাত্রীদের ওঠা-নামার ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানতে নারাজ বাস চালকরা। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, চাষাঢ়া শহীদ মিনার ও সান্তনা মার্কেটের সামনের সড়কটিতে কিছুক্ষণ পরপরই এসে দাঁড়াচ্ছে একাধিক যাত্রীবাহী বাস। যার মধ্যে অন্যতম মৌমিতা ও গ্রীন অনাবিল। আরেকটু এগিয়ে লিংক রোডে বাসগুলোর কাউন্টার থাকা সত্ত্বেও সড়কের মাঝে যাত্রী ওঠাতে দেখা যায়।

কিছুক্ষ দাড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রতিটি বাস প্রায় ৪ থেকে ৫ মিনিট সড়কের মাঝে দাড়াচ্ছে এবং যাত্রী ওঠাচ্ছে। যার কারণে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বাকি যানবাহনগুলো। আর এই কয়েক মিনিটেই সড়কটিতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

মো. আলাউদ্দিন একজন চাকরিজীবী। প্রতিদিন ঢাকা যাতায়াত করেন এই পথে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই ভোগান্তির শিকার হন তিনি। মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘জীবিকার কারণে প্রতিদিন এই রুটে যাতায়াত করতে হয় আমাকে। কিন্তু এমন কোনো দিন যায় না, যেদিন এখানে যানজট না থাকে। বাসগুলোকে যতই কাউন্টার করে দেয়া হোক; এরা সড়কের মাঝেই দাড়ায় এবং যাত্রী নেয়। বাসচালকরা মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখে না। শুধু নিজেরটাই দেখে। এসব দেখেও যেন দেখে না ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা।’

মৌমিতা বাসের হেল্পার রাজু বলেন, ‘এই স্থানটিতে যাত্রী পাওয়া যায় তাই আমরা এখান থেকে যাত্রী নেই। তবে বেশিক্ষণ দাঁড়াই না। বেশি হলে এক মিনিট।’

সড়কে দায়িত্বরত ট্রফিক পুলিশের এএসআই রুহুল বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে এখানে বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করা নিষেধ করা আছে। তবুও এরা দাঁড়ায়; যাত্রী নেয়। এই কারণে আজ গ্রীণ অনাবিল পরিবহণের এক বাসচালককে ২ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। তারপরও সেই সড়কেই দাঁড়াচ্ছে যাত্রী নিচ্ছে। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কতগুলো বাস আর জরিমানা করা যায়?’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়