০৯ মে ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:১১, ৮ মে ২০২১

‘ত্বকী ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের প্রতীক’ গণসংহতির সংলাপে আনু মুহাম্মদ

‘ত্বকী ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের প্রতীক’ গণসংহতির সংলাপে আনু মুহাম্মদ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘সরকার তার বাহিনী ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে। তার একটা চিহ্ন হিসেবে ত্বকী হত্যা। ত্বকীকে হত্যা যারা করেছে সেই খুনিদের রক্ষা করার জন্য সরকার নানা আয়োজন করেছে। ত্বকী একটি অসাধারণ ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের প্রতীক। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতি মাসে-বছরে এ প্রতিবাদ জারি রাখা প্রতীক হিসেবে রয়েছে। যা সারা দেশের সকল অঞ্চলের মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।’

শুক্রবার (৭ মে) রাতে গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ শিরোনামে ওই আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কবি শাহেদ কায়েস। সঞ্চালনা করেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান রিচার্ড।

রফিউর রাব্বি বলেন ‘যারা বিচার বন্ধ করে রাখেন তারা গণবিরোধী, স্বৈরশাসক ও দেশ বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হন। আমাদের সরকার সেই পথে যাচ্ছেন। আরা আশা রাখি সরকারের সুবুদ্ধি হবে। সরকার যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে রাখেন তারা এই সরকারকে রক্ষা করার মত ক্ষমতা রাখেন না। ইতিপূর্বে দেখা গেছে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। আমি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলবো আপনি ত্বকী হত্যার বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দিন আর একটি দায় ও অন্যায় থেকে সরকারকে মুক্ত করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাগুলো ঘটার পরে তারা মর্মাহত হয়েছে। কিন্তু এ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাচ্ছে তা কিন্তু নয়। অর্থ্যাৎ এগুলোকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে ধরে নিয়েছে। কিছুদিন আগে সিলেটে রায়হান হত্যার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ত্বকী হত্যার ৮ বছর ২ মাস হওয়ার পরেও তৈরি করা অভিযোগপত্র আটকে রাখা হয়েছে। সেইজন্যে আমাদের দেশে বিচার হওয়া না হওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু প্রধানমন্ত্রীর দায়-দায়িত্ব। বিচার হলে যেভাবে তার কৃতিত্ব আবার বিচার না হলে সেই অপরাধটাও তাকে বহন করতে হবে। তারা আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এবং আমাদের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বিভিন্ন আইন তারা পাশ করছে। যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি সংবিধান বিরোধী আইন।’

নিহত ত্বকীর পিতা বলেন, ‘তারা হয়তো মনে করে যে, ত্বকী হত্যার বিচার আর হবে না। কিন্তু তা তো হয় না। আমাদের দেশে বহু বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পরিবর্তনের পরে যারা আসেন তারা সেই বিচারগুলো সম্পন্ন করেন।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়