০৯ মে ২০২৪

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ১৬ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৬:৫৩, ১৬ অক্টোবর ২০২১

হকার হত্যা মামলার আসামি নেতা আসাদ

হকার হত্যা মামলার আসামি নেতা আসাদ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে হকার জুবায়েরকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে হকার নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে হকার আসাদকে। ওই মামলা আসাদ ছাড়াও এজাহারনামীয় আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫ জনকে।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিহত জুবায়েরের মা মুক্তা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে বিকেলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয় জুবায়েরকে।

ফুটপাতের অন্য হকার ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায়, চাষাঢ়ায় সাধু পৌলের গীর্জার সামনে জোবায়ের ও ইকবাল পাশাপাশি ব্যবসা করেন। কোনো কারণে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তবে কী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তা জানা যায়নি। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর দুইপক্ষেরই আরও কয়েকজন হাতাহাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ছুরিকাহত হয় জোবায়ের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের উত্তর মাসদাইর এলাকায় পরিবারের সাথে থাকতো জোবায়ের। সে ফুটপাতে জুতার ব্যবসা করতো। এক ভাই, দুই বোনের মধ্যে সে ছিল বড়। ফুটপাতে অন্য ব্যবসায়ীদের বরাতে তিনি বলেন, বিকেলের দিকে দোকান বসা বেশি জায়গা নেয়া নিয়ে পাশের দোকানির সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

এই ঘটনায় নিহত জুবায়েরের মা হকার আসাদুল ইসলামসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো: ইকবাল ওরফে ডাক্তার (৩০), হকার নেতা আসাদ (৪০), স্বপন (৩২), সায়মন (২১), হাসান (১৯), সানি (২৩), রাসেল (২৪), মহসিন (৬০)।

মামলায় বলা হয়, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জার সামনে ফুটপাতে সাদেকের জুতার দোকানে চাকুরী করতো জুবায়ের। ফুটপাতে দোকান বসানো নিয়ে স্বপনের সঙ্গে ঝগড়া হয় জুবায়েরের। পরে জুবায়েরকে বলাকা পেট্রোল পাম্পের সামনে নিয়ে চর থাপ্পড় মারতে থাকে স্বপন। এ সময় হকার নেতা আসাদের হুকুমে মামলার প্রধান আসামি ইকবাল মহসিনের দোকান থেকে ধারালো চাকু এনে জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে। সায়মন মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জুবায়েরের হাতের রগ কেটে দেয়। অপর দুই আসাসি হাসান ও সানি লোহার রড ও কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। রাসেল ও মহসিনসহ অজ্ঞাত আসামিরাও মারধর করে জুবায়েরকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে জুবায়েরকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ছেলে জুবায়েরকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়