০১ মে ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:১১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফুটবল জগতে না.গঞ্জের সর্বশেষ মুখ তপু বর্মণ

ফুটবল জগতে না.গঞ্জের সর্বশেষ মুখ তপু বর্মণ

আশিফ হোসেন (প্রেস নারায়ণগঞ্জ): আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, সম্রাট হোসেন এমিলি, মোনেম মুন্না, জাকির হোসেন, গোলাম গাউস, নজরুল, ওয়ালী ও সুজন নামগুলো কি পরিচিত মনে হচ্ছে? পরিচিত হওয়ারই কথা। নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠে জাতীয় দল কাঁপানো ফুটবলার তারা। আর এই পূর্বসূরিদের পথ ধরেই নারায়ণগঞ্জের সর্বশেষ মুখ সারজিও রামোস খ্যাত তপু বর্মণ।

তপুর ফুটবল খেলার শুরুটা নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় কোচ ও জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার জাকির হোসেনের হাত ধরে। যুক্তরাজ্যের ক্যানারি ওয়ারফ গ্রুপের অধীনে বাংলাদেশে একটি ফুটবল একাডেমী হয়েছিল। ২০০৬ সালে ৪ হাজার ছেলের মধ্য থেকে ধাপে ধাপে বাছাইয়ে নারায়ণগঞ্জের তপুসহ টেকে ৩০ জন। ক্যানারি ওয়ারফের প্রধান সমন্বয়কারী ও বাফুফে সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, তপুকে আমরা বিকেএসপিতে ভর্তি করে প্রশিক্ষণ দেই। যেখানে কোচ ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম সারোয়ার টিপু। এরপর ২০০৮ সালে ক্যানারি ওয়ারফ কিশোর দলের হয়ে লন্ডন সফর করেন তপু বর্মণ। ক্যানারি ওয়ারফ অধ্যায় শেষ করে অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় দলের সঙ্গে ফিলিপাইনের এএফসি কাপ খেলতে যান তিনি। তখনই তাকে দেখে ভবিষ্যৎ পড়ে নেন নারায়ণগঞ্জের সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার জাকির হোসেন।

২০১৩ সালে জাতীয় দলে ডাক পান এই তরুন ডিফেন্ডার। তবে সাফের প্রস্তুতি ক্যাম্পে থাকলেও চূড়ান্ত দলে ঠাই হয়নি তখন। ২০১৫ সালে কেরেলা সাফে অবশ্য খেলেছেন।

শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৩-০ গোলের জয়ে তপু করেন একটি গোল।

সাফ কাপে টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন এই তরুন ডিফেন্ডার। জাতীয় দলের হয়ে ২৩ ম্যাচে তিনি গোল করেন তিনটি। তবে এই পরিসংখ্যান দলে তপুর গুরুত্ব পুরোপুরি বোঝাতে পারে না। রিয়াল মাদ্রিদ স্টার সারজিও রামোসের মতো রক্ষণ থেকে উঠে গিয়ে গোল করতে পারেন তিনি। সারজিও রামোসের সাথে তুলনার ব্যাপারটি তার কাছে কেমন লাগে এমন প্রশ্নের উত্তরে একটু লজ্জা লজ্জা ভাব তপুর মধ্যে। তিনি বলেন, রামোস কত বড় প্লেয়ার! আমি আর কি! আমি আসলে দলের জন্য খেলি। এটাই আমার ধ্যানজ্ঞান।

তপু বর্মণ এর এই সাফল্যতে গর্বিত তার পিতা দয়াল বর্মণ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের সাথে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন তপু বর্মণ। তখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন তপুর বাবা দয়াল বর্মণ ও বড় ভাই দিপু বর্মণ। দয়াল বর্মণ আনন্দিত কন্ঠে জানান, আমি প্রায়ই ছেলের খেলা দেখতে যাই। ছেলেটা এখন আমার গর্ব। হাজার হাজার মানুষ খেলা দেখে খুশি। এর চেয়ে বড় আনন্দের কিছু নেই। টাকা দিয়ে এটা কেনা যায় না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়