২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

আপডেট: ১৫:৪৩, ৭ নভেম্বর ২০১৭

ওজন কমানোর সহজ পদ্ধতি

ওজন কমানোর সহজ পদ্ধতি
সংগৃহীত

ওজন কমানোর জন্য জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা এবং কঠোর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলাটা একটু কঠিনই বৈকি। কিন্তু এছাড়াও এমন আরো ১১টি পদ্ধতি আছে যেগুলো নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া অনকে সহজ হয়ে আসবে।

লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন
এতে শুধু আপনার পায়ের মাংসপেশীই শক্তিশালী হবে না বরং প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট সিঁড়ি ভাঙলেই অল্প কয়েক সপ্তাহ পরই আপনি এর ফল দেখতে পাবেন। আপনি যদি খুব বেশি ওপরে থাকেন তাহলে প্রতিদিন লিফট ছাড়াই অন্তত কয়েকটি ফ্লোর সিঁড়ি বেয়ে উঠুন। এরপর লিফট ব্যবহার করুন।

বাসায় খাবার রান্না করুন
দু’টি কারণে বাসায় খাবার রান্না করা আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক। এক, নিজে রান্না করার সময় আপনি খাবারটা যাতে স্বাস্থ্যকর হয় সেদিকে বেশি খেয়াল রাখবেন। দুই, রান্নার করার সময় রাঁধুনির ওপর রান্নার বিস্ময়কর প্রভাব পড়ে। যেমন, খাবার খাওয়ার আগেই রাঁধুনির মধ্যে এক ধরনের খাবার খাওয়ার পূর্ণতা বা সন্তুষ্টি কাজ করে। ফলে পরে আর আপনি বেশি খাবার খাবেন না। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

স্যুপ পান করুন
দুপুরের বা রাতের খাবারের আগে স্যুপ পান করলে আপনার ক্ষুধা অনেকটাই মিটে যাবে। ফলে আপনি ওজন বাড়ায় এমন খাবার কম খাবেন। তবে ক্রিম দিয়ে তৈরি কোনো স্যুপ খাবেন না। কারণ সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মাখন এবং চর্বি থাকে।

বেশি বেশি সবজি খান
ওজন কমানোর সবচেয়ে দ্রুততর উপায় জানতে চান? সবজি বেশি খান। এতে আপনার ক্ষুধা মিটবে কিন্তু ক্যালরি বাড়বে না। কারণ সবজিতে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ এবং পানি। যাতে সহজেই আপনার পেট ভরবে। ফলে আপনাকে আর অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে না। ওজনও বাড়বে না।

মদপান ত্যাগ করুন
মদ হজমশক্তি নষ্ট করে। যার ফলে দেহে চর্বি জমতে শুরু করে। এমনকি বিয়ারের মতো মদে আবার প্রচুর পরিমাণে ক্যালরিও থাকে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের চেয়েও এতে বেশি ক্যালোরি থাকে।

যোগ ব্যায়াম করুন
এর নানা উপকার আছে। তার একটি হলো দিনব্যাপী সচেতনতা। এর মানে হলো আপনি সারাদিন ধরে যেসব তৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছেন সেসব ব্যাপারে আপনি আরো বেশি সচেতন থাকছেন। আর ওজন কমানোর জন্য অতিভোজন এড়াতে খাবার খাওয়ার সময় সচেতন থাকার কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে।

অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনে লাল প্লেট ব্যবহার করুন
এটি একটি মানসিক কৌশল। লাল রং আপনার মনকে বিপদ সঙ্কেত দিবে। সুতরাং আপনাকে থামতে হবে। আর চিপস এবং ফ্যাটি বিস্কিট খাওয়ার সময় আপনার জন্য ঠিক এই বিপদ সংকেতটাই দরকার। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে লাল পাত্রে যে খাবার পরিবেশন করা হয় লোকে সেই খাবার কম খায়।

গ্রিন টি পান করুন
গ্রিন টি হয়তো রেগুলার ব্রাউন টির মতো অতটা শক্তিশালী নয়। কিন্তু এতে এমন কিছু উপাদান আছে যা হজম প্রক্রিয়াকে বিস্ময়করভাবে শক্তিশালী করে তোলে এবং সময়ের পরিক্রমায় ওজন কমাতে সহায়ক হয়।

সফট ড্রিঙ্কস এর বদলে পানি পান করুন
আমরা প্রায়ই হোটেলে বা অন্য কোনো উপলক্ষ্যে খাবার খাওয়ার সময় ফলের জুস বা কোলাজাতীয় পানীয় পান করি। এর বদলে বরং পানি পান করুন। এতে শুধু টাকাই বাঁচবে না বরং আপনার স্বাস্থ্যও রক্ষা হবে এবং ওজনও কমবে।

আগেভাগেই ঘুমাতে যান
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং প্রতিদিন কমপক্ষে আট ঘন্টা ঘুামানো কোনো কিছু করা ছাড়াই ওজন কমানোর খুব ভালো উপায়। এতে রাতে হঠাৎ করেই ক্ষুধার তাড়নায় আপনার ঘুম ভেঙ্গে যাবে না। রাতে ভালো ঘুম হলে দেহের কার্যক্রম যেমন মসৃণ হয় তেমনি শরীরও ফুরফুরে থাকে।

একটি নির্দিষ্ট দিনে অস্বাস্থ্যকরভাবে অতিভোজন করুন
আপনার কাছে হয়তো ব্যাপারটি বিস্ময়কর লাগতে পারে। কিন্তু এতে আপনি পরে অস্বাস্থ্যকর ভোজন এড়িয়ে চলতে সক্ষম হবেন। তবে সারাদিন ধরে অস্বাস্থ্যকরভাবে অতিভোজন করবেন না যেন। বরং শুধু সকালবেলাতেই অস্বাস্থ্যকরভাবে অতিভোজন করুন। এরপর শরীরকে রিল্যাক্স করতে দিন।

আপনি হয়তো ভাবছেন এতগুলো অভ্যাস কি একবারেই গড়ে তোলা সম্ভব। ভয় পাবেন না। এই অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি বা দুটি বাছাই করে সেটি রপ্ত করা শুরু করুন। এর এক-দুই সপ্তাহ পর আরেকটি অভ্যাস রপ্ত করা শুরু করুন। এভাবে ধীরে ধীরে বাকি সবগুলো অভ্যাস রপ্ত করা শুরু করুন।

 

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়