২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ৭ মার্চ ২০২১

'করোনা বীর' খোরশেদের কর্মযজ্ঞের বছরপূর্তি, লড়াই চালানোর প্রত্যয়

'করোনা বীর' খোরশেদের কর্মযজ্ঞের বছরপূর্তি, লড়াই চালানোর প্রত্যয়

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: করোনার শুরু থেকেই মানুষের সচতেনতা বৃদ্ধিতে কাজ শুরু করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সংক্রমিত হওয়ার ভয় উপেক্ষ করে তাঁর এ কাজে প্রথমে তিনি একা থাকলেও পরবর্তীতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। পরে গঠন করেন ‘টিম খোরশেদ’ নামে দল। গত এক বছর যাবৎ সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি ও তাঁর দল। পেয়েছেন করোনা বীর তকমা।

করোনার শুরুতে জনসচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ, অনলাইন-অফলাইনে মানুষকে ঘরে থাকতে ও সচেতন করতে নানা কার্যক্রম হ্যান্ড স্যানিটাইজার, লিকুইড সাবান তৈরি করে বিতরণ, সরকারি ও নিজস্ব উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, বিনামূল্যে সবজি বিতরণ, ভর্তুকি মূল্যে ডিম ও খাদ্য সামগ্রী বিক্রি, টেলি মেডিসিন সেবা দিয়েছেন কাউন্সিলর খোরশেদ। করোনায় আক্রান্তদের দাফন-সৎকার করে বেশ আলোচিত হন তিনি। করোনাকালীন লকডাউনে ঘরে ঘরে খাদ্য বিতরণ, অক্সিজেন সার্পোট, এমবুলেন্স সার্পোট, প্লাজমা ডোনেশনসহ নানা কার্যক্রমেও তিনি ছিলেন আলোচিত। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন অন্যদের। করোনার এক বছর পূর্তিতে কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, অব্যহত থাকবে তার এই কার্যক্রম।

তিনি জানান, গত এক বছরে ২০ হাজার সচেতনতামূলক লিফলেট, মাস্ক বিতরণ, শহরের বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন, নিজের তৈরি ৬০ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, ১০ হাজার বোতল লিকুইড সাবান প্রস্তুত ও বিতরণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে গাঠিত টিম খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও জেলার বাইরের ১৫৩ জন ব্যক্তির দাফন ও সৎকার করেছেন। এছাড়া বাড়িতে বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী, প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌছে দিয়েছেন। বিনামূল্যে অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থাও করেছেন।

এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি, তার স্ত্রী এবং তার কয়েকজন টিম মেম্বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও দমে যাননি। বরং সুস্থ হয়ে নিজেরাই প্লাজমা দিয়েছেন এবং পুরোদমে আবারো কাজ করেছেন। খোরশেদ এখন পর্যন্ত তিনবার প্লাজমা দিয়েছেন বলে জানান।

মাকছুদুল আলম খোরশেদ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতা। সদ্য বিলুপ্ত মহানগর যুবদলের সভাপতিও ছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একাধিবার নির্বাচিত কাউন্সিলর তিনি। খোরশেদ বলেন, এ লড়াইটা মানবিকতাকে টিকিয়ে রাখতে। প্রথমদিকে এমন একটা সময় ছিল যখন বাবা মারা গেলে সন্তান ভয়ে সে ঘরেও যেতা না। লাশ আমরা আনতে গেলে ঘরের চাঁদরসহ আমাদের দিয়ে দিতো। তখন এই মানবিক সংকট কাটাতে আমরা মাঠে নামি। ধীরে ধীরে ভয় কাটে মানুষ এগিয়ে আসে। এখন সেই আগের অবস্থা নেই। আমাদের লড়াইতে সবাইকে বাঁচাতে না পারলেও যে কয়জনের প্রাণে বেঁচেছে তাতেই আমাদের পাওয়া। আমরা চাই মানবিকতা টিকে থাকুক, সতকর্তায় করোনা মোকাবেলা হোক।যতদিন প্রয়োজন আমরা ততদিন মাঠে থাকবো ইনশাল্লাহ। খাদ্য সামগ্রী, নিরাপত্তা সরঞ্জাম, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করা ব্যক্তিদের প্রতি এবং দলের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়