২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:৪২, ১০ জুলাই ২০২১

আপডেট: ২১:৪২, ১০ জুলাই ২০২১

অগ্নিকান্ডে ৫২ প্রাণহানির ঘটনায় গণসংহতি’র মানববন্ধনে পুলিশি বাধা

অগ্নিকান্ডে ৫২ প্রাণহানির ঘটনায় গণসংহতি’র মানববন্ধনে পুলিশি বাধা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড কারখানায় অগ্নিকা-ে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত গণসংহতি আন্দোলনের মানববন্ধনে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ছিনিয়ে নিয়েছে ব্যানার। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনসহ অন্যান্য কর্মীরা। শনিবার (১০ জুলাই) বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

বিকেল সোয়া চারটার দিকে জলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি শুভ দেবের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সম্পাদকম-লীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।

মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেই ব্যানার কেড়ে নেয়। এক পর্যায়ে গণসংহতির নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান।

তরিকুল সুজন অভিযোগ করে বলেন, আজ রূপগঞ্জের সেজান জুসের কারখানায় ৫২ জন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ আয়োজন করে। বিক্ষোভ শুরু করার আগেই পুলিশ আমাদের বাঁধা দিতে থাকেন। আমরা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে, সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করার অনুমতি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করি। এরপরেও পুলিশ বারবার বাঁধা দেয় এবং একপর্যায়ে আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমার মাইক ছিনিয়ে নিয়ে, আমাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায়, পোশাক ধরে টেনে হিঁচরে রাস্তায় ফেলে দেয়। লাঠি ও বুট দিয়ে বুকে, পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে, অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।

আমরা এই ন্যয্য দাবী নিয়ে আয়োজন করা বিক্ষোভে, পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যত বাঁধা, হামলাই আসুক আমরা আমাদের দাবী এবং আন্দোলন চলমান রাখবো। আমরা জনগণের পক্ষে, মানুষের অধিকারের পক্ষে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল বাপ্পি, নারী সংহতি নেত্রী পপি রাণী দাস, রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান রিচার্ড, জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ইলিয়াস জামান, সাধারণ সম্পাদক ফারহানা মানিক মুনা প্রমুখ।

কর্মসূচি বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুঠোফোনে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ জামান বলেন, লকডাউন পরিস্থিতি কর্মসূচির জন্য নিষেধ করা হয়। সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে তারা কর্মসূচি চালিয়ে গেলে এক পর্যায়ে পুলিশ বাধা দেয়।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়