গোলাম রাব্বানী মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন দাবি শামীম ওসমানের
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের পিতা গোলাম রাব্বানী খান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা ইতিহাসের গবেষক ও লেখক মুনতাসির মামুন ও রীতা ভৌমিকের বইতে গোলাম রাব্বানী খানের নাম রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী শান্তি কমিটির তালিকায়। ১৯৭১ সালের ১২ মে নারায়ণগঞ্জে স্বাধীনতাবিরোধীরা ১২৪ সদস্যবিশিষ্ট শান্তি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির চাষাঢ়া অঞ্চলের আহ্বায়ক ছিলেন গোলাম রাব্বানী খান। তবে নারায়ণগঞ্জের তিনবারের নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাংসদ জানালেন ভিন্ন ইতিহাস। তাঁর দাবি, গোলাম রাব্বানী খান ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিলেন।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে নগরীর ইসদাইরে অবস্থিত ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে প্রথম অস্ত্র লুট হলো। অস্ত্র লুট করলেন বাচ্চু ভাই। তিনি এখন নাই, চলে গেছেন। গোলাম রাব্বানী সাহেব (নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতির বাবা) খবির ভাইয়ের সাথে চাবি খুলে দিয়েছেন। এই অস্ত্রটা প্রথম লুট হয়। এরপর বাচ্চু ভাই বোধহয় কোর্ট থেকে অস্ত্র লুট করেছিলেন।’
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ কাবাডি গেমস এর মধুমতি জোনের ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
তবে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের বাবা গোলাম রাব্বানী রাজাকার ছিলেন বলে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সময়ে বলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, গোলাম রাব্বানী রাজাকার ছিলেন। ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুনের সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধ কোষ’, ‘শান্তিকমিটি ১৯৭১’ ও রীতা ভৌমিকের লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ’ বইয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজাকারদের তালিকা পাওয়া যায়। রাজাকারদের ওই তালিকায় গোলাম রাব্বানীর নাম উল্লেখ আছে।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম