২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৩:৩৬, ২৩ আগস্ট ২০২১

আপডেট: ২০:৩৭, ২৩ আগস্ট ২০২১

ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নারায়ণগগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দোলাচল ছিল। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর নাসিকের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। পুনরায় নির্বাচিত মেয়র আইভী ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশন বলছে, শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছর মেয়াদ হিসাব করা হয়। সে অনুযায়ী পরবর্তী মেয়াদের নির্বাচনের আয়োজন করার রীতি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নাসিক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসি।

১৯৭৪ সালে তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকা। ২০০৩ সালে তাঁরই জ্যেষ্ঠ কন্যা ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আওয়ামী লীগের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে আনেন। এরপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হলে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন ডা. আইভী। ওই নির্বাচনে ডা. আইভীর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা একেএম শামীম ওসমান। ওই সময় শামীম ওসমান দলীয় সমর্থন পেলেও তাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন ডা. আইভী। অর্জন করেন দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী মেয়রের খেতাব। ২০১৬ সালে পুনরায় বিএনপির প্রার্থী অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নৌকা প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আইভীর উন্নয়ন কার্যক্রম ও দক্ষতার কারণে আসন্ন নির্বাচনেও পুনরায় আওয়ামী লীগের সমর্থন পাবেন বলে ধারণা আইভীর সমর্থকদের।

এদিকে করোনা ও লকডাউনের কারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় বারের নির্বাচন সঠিক সময়ে হওয়া নিয়ে দোলাচল ছিল। করোনার কারণে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত হলে এই শঙ্কা বাড়তে থাকে। করোনায় ঝুলে থাকা ও মেয়াদ শেষ হওয়া বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনের সময়সূচি ঠিক করতে নির্বাচন কমিশন সোমবার (২৩ আগস্ট) বৈঠকে বসে।
দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানান, চলতি বছর অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সব ইউপি নির্বাচন, উপনির্বাচন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় ইসি।

তিনি বলেন, ‘সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নের মধ্যে আমরা মাত্র ২০৪টিতে ভোটগ্রহণ করতে পেরেছি। আজকে কমিশন সভায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৪ হাজারের মতো ইউনিয়ন, নারারণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, কুমিল্লা-৭ শূন্য আসনে উপনির্বাচন, জেলা পরিষদসহ অন্যান্য নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়