নাশকতার মামলায় নারায়ণগঞ্জে আরও ২১ জন গ্রেপ্তার

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় আরও ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে দাবি করেছে সংগঠনের নেতারা৷ আগামী ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে ‘গায়েবি’ মামলায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে দাবি তাদের৷

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার সাত থানায় নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট দশটি মামলা করা হয়েছে৷ ওইসব মামলায় বিএনপি, জামায়াত, নাগরিক ঐক্য ও গণঅধিকার পরিষদের সাত শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়৷

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সদরে ছয়জন, আড়াইহাজারে একজন, রূপগঞ্জে পাঁচজন, সিদ্ধিরগঞ্জে চারজন, সোনারগাঁ মডেল থানা এলাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মধ্যে জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মহসিন, গাড়িচালক জুয়েল আহম্মেদ ও দেহরক্ষী লিটন মিয়া এবং কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহসভাপতি ইমরান হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কোষাধ্যক্ষ গুলজার হোসেন, ভোলাবো ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান, তারাবো পৌরসভার বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক তাশিফ হক ওসমান, কাঞ্চন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের নাম পাওয়া গেছে৷

জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চিটাগাংরোড হক সুপার মার্কেট এলাকা থেকে আমার ব্যক্তিগত সহকারী মহসিন, গাড়িচালক জুয়েল আহম্মেদ ও কর্মী লিটনকে ধরে নিয়ে গেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কোন মামলা কিংবা জিডিও ছিল না৷ ওরা দলীয় কোন পদেও নেই৷ নিরীহ এসব ব্যক্তিগত স্টাফদের এভাবে গ্রেপ্তার খুবই দুঃখজনক৷’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যাতে নেতা-কর্মীরা যেতে না পারে সেজন্য গায়েবি মামলা করে নির্বিচারে গ্রেপ্তার চলছে৷ বিরোধীমতকে দমনের পুরোনো কৌশলকে বেছে নিয়েছে সরকার৷’

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, ‘নাশকতার অভিযোগে করা মানলায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত থাকবে৷’