২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ২৯ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৪:১৮, ৩০ নভেম্বর ২০২২

প্রবীরের পর স্বপন হত্যায়ও পিন্টুর ফাঁসি, রত্নার যাবজ্জীবন

প্রবীরের পর স্বপন হত্যায়ও পিন্টুর ফাঁসি, রত্নার যাবজ্জীবন

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদন্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামি পিন্টু দেবনাথ মৃত্যুদন্ড ও রতœা চক্রবর্তী যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত হন। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে আরেক আসামি। রায় ঘোষণার সময় তিনজনই আদালতে আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথিতে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন শহরের নিতাইগঞ্জের সনাতন চন্দ্র সাহার ছেলে স্বপন কুমার সাহা। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হলেও খোঁজ মেলেনি স্বপনের। এদিকে ২০১৮ সালের ১৮ জুন নিখোঁজ হন শহরের আমলাপাড়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ। নিখোঁজের ২১ দিন পর ৯ জুলাই রাতে বন্ধু পিন্টু দেবনাথের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে প্রবীরের টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ব্যবসায়ী স্বপনের নিখোঁজ ও তার মৃত্যুর যোগসূত্র পায় ডিবি। স্বপনের নিখোঁজের দেড় বছর পর ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই তার বড়ভাই অজিত কুমার সাহা সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাকসুদা আহমেদ জানান, ‘নিহত স্বপন কুমার সাহা ধর্মান্তরিত হয়ে সাইদুর ইসলাম স্বপন নামধারণ করেছিলেন। স্বপন হত্যা মামলায় পিন্টু, রতœা ও মামুন গ্রেপ্তার হয়। তারা তিনজনই স্বপনের পূর্বপরিচিত ছিলেন। তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা জানায়, অর্থ লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্বপনকে হত্যা করে পিন্টু দেবনাথ। তাকে সহযোগিতা করে বান্ধবী রতœা চক্রবর্তী। হত্যার পর লাশ টুকরো করে একাধিক বাজারের ব্যাগে ভরে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।’

তিনি আরও জানান, ‘দেড় বছর পর হত্যা মামলা হয়। আসামিরা স্বীকারোক্তি দিলেও নিহতের মরদেহ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশ নিহত স্বপনের মোবাইল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটিসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর পিন্টু, রতœা ও মামুনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ডিবির তৎকালীন এসআই মফিজুল ইসলাম।’

মামলার বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত একজনকে মৃত্যুদন্ড ও অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। মামলায় খালাস পান আরেক আসামি।

উল্লেখ্য, স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যা মামলাতেও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হন পিন্টু দেবনাথ। ২০১৯ সালের ২৯ মে জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়