২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২২:২৭, ১ ডিসেম্বর ২০২১

আপডেট: ২২:৩০, ১ ডিসেম্বর ২০২১

মনোনয়ন দৌড়ে আইভীর বিকল্প নেই

মনোনয়ন দৌড়ে আইভীর বিকল্প নেই

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতিসহ চারজন। তারা মনোনয়ন ফরম জমাও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন বোর্ডের একটি সভা রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওইদিনই নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ। এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, সৎ, নির্ভীক ও কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে আইভীর। তিনিই নৌকার যোগ্য প্রার্থী। মহানগর আওয়ামী লীগেরও এক সভায় অধিকাংশ নেতা আইভীকেই সমর্থন দিয়েছেন। মনোনয়ন দৌড়ে আইভীর বিকল্প দেখছেন না নারায়ণগঞ্জবাসী। তারা পুনরায় মেয়র হিসেবে আইভীকে চাচ্ছেন।

গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষণা অনুযায়ী, ১৬ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এদিকে গত ২৮ নভেম্বর থেকেই দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। ১ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিন। নারায়ণগঞ্জ থেকে সিটি মেয়র আইভীসহ চারজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

জানা গেছে, আধুনিক নারায়ণগঞ্জের রূপকার সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। গত ১৮ বছরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। নগরীর অলিগলিতে প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ, শেখ রাসেল নগর পার্ক নির্মাণ, বাবুরাইল খাল, সিদ্ধিরগঞ্জ খাল পুনরুদ্ধার ও সৌন্দর্যবর্ধনসহ কয়েকটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন করে নগরীর চেনা রূপ বদলে দিয়েছেন। গুম, খুন, ভুমিদুস্যতা, চাঁদাবাজির লাগাম টেনে ধরেছেন।  পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে সবুজ নারায়ণগঞ্জ উপহার দিতে কাজ করেছেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিরক্ষার্থেও কাজ করেছেন তিনি। শহরে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর নির্মাণ, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করেছেন মেয়র আইভী। বন্দরে প্রধানমন্ত্রীর নামে শেখ হাসিনা বিজ্ঞান কমপ্লেক্সের কাজ প্রস্তাবিত রয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, শুধু উন্নয়নই নয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জন্যও মেয়র আইভী ও তার পরিবারের বিশেষ অবদান রয়েছে। আইভীর প্রয়াত পিতা আলী আহাম্মদ চুনকা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি আজীবন তৃণমূলের নেতাদের পক্ষে কাজ করেছেন। নিজের সম্পদ বিক্রি করে নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেছেন। বাবার দেখানো পথে হেঁটেছেন মেয়র আইভীও। বিএনপি সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের পাশে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান ডা. আইভী। মেয়র আইভীর এই কর্মকান্ডের মূল্যায়নে গতবার আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন মেয়র আইভীকে। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির পদও দিয়েছেন তাকে। এইবারও আইভীই নৌকার যোগ্য বলে মনে করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির একটি সভায়ও নেতারা বলেছেন, নৌকার জন্য মেয়র আইভীই যোগ্য। তাকেই মনোনয়ন দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা। এদিকে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, আইভীর সাথে আরও তিনজন মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা। এই তিনজনই সাংসদ শামীম ওসমানের অনুসারী। স্বয়ং তাদের নেতা শামীম ওসমানই ২০১১ সালে আইভীর বিপরীতে পরাজিত হয়েছেন। এই নেতারা কোনভাবেই আইভীর সমকক্ষ না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশেই মেয়র আইভীর সৎ ও জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। গত দুই নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন আইভী। নারায়ণগঞ্জবাসী সহ সারা দেশেই দল-মত নির্বিশেষ সকলেই সৎ ও নির্ভীক রাজনীতিবিদ আইভীকে আবারও মেয়র হিসেবে চায়। সবকিছু বিবেচনায় নৌকার মনোনয়নে আইভীকেই এগিয়ে রাখছেন তারা।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়