২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ৪ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১১:৩৯, ৫ এপ্রিল ২০২১

শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবি, ৫ নারীর লাশ উদ্ধার

শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবি, ৫ নারীর লাশ উদ্ধার

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ নিখোঁজ রয়েছেন বিশেরও অধিক যাত্রী৷ রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সদর উপজেলার চর সৈয়দপুর এলাকায় একটি কোস্টার জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল৷ রাত এগারোটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯ জন সাঁতরে তীরে ওঠেন৷ লঞ্চ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, দমকল বাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশের উদ্ধারকর্মীরা৷

নারায়ণগঞ্জ নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল আলম জানান, চরসৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যায় নির্মাণাধীন সেতুর কাছাকাছি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। একটি কোস্টার জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে৷ নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওয়ানা হয়েছিল ডুবে যাওয়া লঞ্চটি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের নিরাপত্তকর্মী মোহাম্মদ হালিম৷ তিনি বলেন, এসকেএল-৩ (এম: ০১২৬৪৩) নামের একটি কোস্টার জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০০ মিটার লঞ্চটিকে টেনে নিয়ে যায়৷ এরপর লঞ্চটি যাত্রীসহ ডুবে যায়৷

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাশের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ ঘাট দিয়ে ১৩ জন যাত্রী সাঁতরে উঠেছেন৷ পশ্চিম পাশের ঘাট দিয়ে আরও ১৬ জন জীবিত অবস্থায় উঠেছেন৷ পাঁচজন নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷

নারায়ণগঞ্জ জেলা লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান রাজা জানান, লঞ্চটিতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিল৷ সন্ধ্যা ৫টা ৫৬ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চটি আনুমানিক সোয়া ছয়টার দিকে দুর্ঘটার কবলে পড়ে৷ এসকেএল-৩ নামক একটি কোস্টার জাহাজ পেছন থেকে লঞ্চটিতে ধাক্কা দেয়৷

ডুবে যাওয়া লঞ্চটির মালিকের নাম আলাল হোসেন৷ তিনি মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানান লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান৷ তিনি বলেন, এই রুটে ২৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে৷ আমাদের যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর আয়তন ছোট৷ কোস্টার জাহাজগুলো এই রুটে বেপরোয়াভাবে চলাচল করে৷ বারবার বলার পরও তারা কোনো সমঝোতা করে চলাচল করে না৷ কোস্টার জাহাজগুলো যেন নিয়ম মেনে যেন চলাচল করে এ দাবি তোলেন তিনি৷

লঞ্চের যাত্রী ছিলেন মুন্সিগঞ্জ সদরের মাটহাটি এলাকার বাসিন্দা মোবারক মাদবর (৪৭) জানান, বড় একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ লঞ্চটি ডুবে যায়৷ তিনি সাতরে তীরে ফিরতে পেরেছেন৷ তবে বাকিদের কোনো খবর তিনি দিতে পারেননি৷

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে আনুমানিক অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিল। ঘটনাস্থলে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্ট গার্ড, দমকল বাহিনী, থানা ও নৌ পুলিশের কর্মীরা উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। কালবৈশাখী ঝড় ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান কিছুটা বিঘ্ন ঘটে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়