২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৭:১৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আপডেট: ২০:৫০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

৪ নৌ-শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা: ২ জনের ফাঁসি, ৯ জনের যাবজ্জীবন

৪ নৌ-শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা: ২ জনের ফাঁসি, ৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সদর উপজেলার ফতুল্লায় চার নৌ-যান (বাল্কহেড) শ্রমিককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড ও ৯ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচার সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় সাত আসামি উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা পলাতক রয়েছে।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: নৌ-যানের (বাল্কহেড) ইঞ্জিনমিস্ত্রী তাজুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: চাঁন মিয়া, দুলাল মিয়া, মজিবর, জলিল, আবদুল মান্নান, আরিফ, সাইফুল ইসলাম, দুলাল এবং ইব্রাহিম। মামলায় মোট ১২ আসামির মধ্যে জলিল, সাইফুল, দুলাল এবং ইব্রাহিম নামের চারজন এখনও পলাতক রয়েছেন এবং শফিকুল ইসলাম নামে একজন আসামি ইতিপূর্বে মারা গেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ফজলুর রহমান বলেন, চার বাল্কহেড শ্রমিক হত্যা মামলায় ১২ আসামির মধ্যে দুইজনকে মৃত্যুদন্ড ও নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। এক আসামি আগেই মারা গিয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর শাহপরান নামের বাল্কহেড সিলেট থেকে পাথর বোঝাই করে মুন্সীগঞ্জে একটি সিমেন্ট কারখানায় যায়। সেখানে পাথর খালাস করে ২১ সেপ্টেম্বর বাল্কহেডটি ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে থেমে যায়। পরে বাল্কহেডটি মেরামত করার জন্য এর চালক দুই ইঞ্জিনমিস্ত্রি তাজুল ইসলাম ও মহিউদ্দিনকে ফোন করে ডেকে আনেন। মেরামত শেষে বাল্কহেডটি সচল হলে দুই ফিডারম্যান সেটি পরীক্ষা করার কথা বলে রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাতদের যোগসাজশে বক্তাবলীর চরে নিয়ে থামিয়ে দেয়। পরে ওই রাতেই চালক নাসির মিয়া, কর্মচারি মঙ্গল, ফয়সাল ও হান্নানকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। পরে মেঘনা নদী থেকে হাত পা বাঁধা ও গলাকাটা অবস্থায় নাসির এবং মঙ্গলের লাশ উদ্ধার হলেও ফয়সাল ও হান্নান নামের অপর দুই শ্রমিক নিখোঁজ থাকেন। এ ঘটনার পরদিন ২০০৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাল্কহেডটির মালিক এরশাদ মিয়া ফতুল্লা থানায় বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুই ইঞ্জিনমিস্ত্রি তাজুল ইসলাম ও মহিউদ্দিনসহ সাত আসামীকে গ্রেফতার করে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়