শীতলক্ষ্যায় খেয়া পারাপার বন্ধ, বিপাকে রোগীরা (ভিডিওসহ)
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল ঘাটের খেয়া পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রয়োজনে বন্দর থেকে শহরে যাওয়া সাধারণ মানুষ ও অসুস্থ্য রোগীরা।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় লকডাউন করা হয়েছে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলা। ফলে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যান চলাচল। তবে খোলা রয়েছে সকল প্রকার জরুরী সেবা। কিন্তু তার সুফল পাচ্ছে না বন্দরবাসী। কেননা বন্দর উপজেলার সঙ্গে শহরের একমাত্র সংযোগ পথ শীতলক্ষ্যা নদী পারাপার গত দুদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (৮ এপ্রিল) বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটে সারি সারি নৌকা বাঁধা। ঘাটের পাড়ের একটি খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন এক অসুস্থ্য নারী। অসুস্থতায় কষ্ট পাচ্ছেন এবং অনবরত কাতরে যাচ্ছেন ওই নারী। ঘাটে বাধা নৌকার পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন মাঝিরা। তবু অসুস্থ্য ওই নারীকে নদী পাড় করছেন না কেউ। অসুস্থ্য ওই নারীর মত বন্দর ঘাটে অপেক্ষা করছেন জরুরি প্রয়োজনে শহরের উদ্দেশ্য রওনা হওয়া আরও কয়েকজন৷
যাত্রীদের ভিড় থাকা সত্ত্বেও কোনো নৌকা কেন পার করছে না এমন প্রশ্নে উত্তরে মাঝিরা জানান, লকডাউনের কারণে গত দু`দিন যাবৎ শীতলক্ষ্যা নদীর খেয়া পারাপার বন্ধ রয়েছে। নদীর এই পারে কোনো পুলিশ সদস্য না থাকলেও ওপারে পুলিশের টহল দল দাঁড়িয়ে আছে। নৌকা নিয়ে গেলেই তারা মাঝি ও যাত্রীদের হয়রানি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝি অভিযোগ করে বলেন, `নৌকা নিয়া ওপারে (নারায়ণগঞ্জ) গেলেই পুলিশ গালাগালি করে আমাদের মারধর করে। তাই কেউ নদী পার করার সাহস দেখাচ্ছে না।`
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, `লকডাউন ও মানুষের যাতায়াত রোধের লক্ষে যা যা করা সম্ভব আমরা করছি। এ জন্যই বন্দর খেয়া ঘাটে নদী পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। নদীর দুই পারেই আমাদের টহল দল রয়েছে। যদি কোনো অসুস্থ্য রোগী থাকে তাহলে তাদের জানালেই তারা নৌকা ছেড়ে দেয়া হবে।`
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম